চাদর ও বালিশের কভারের মান যাচাই করতে জার্মানি যাচ্ছেন আইজিপি

সময় ট্রিবিউন | ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৯:১০

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ-ফাইল ছবি

ডবল খাটের এক লাখ পিস বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের মান যাচাই করতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ সরকারের তিন কর্মকর্তা নয় দিনের সফরে জার্মানি যাচ্ছেন।

পুলিশ অবশ্য বলছে, এ ধরনের সফর নতুন নয়। এর আগেও মান যাচাইয়ে এমন সফরে গেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন সরগরম। পণ্য সরবরাহকারীর অর্থে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে হচ্ছে নানা ধরনের আলোচনা।

গত সোমবার সফর–সম্পর্কিত আদেশটি জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই আদেশ অনুযায়ী আইজিপি বেনজীর আহমেদ ছাড়াও আরও দুজন জার্মানি যাচ্ছেন। তাঁরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ উদ্দীন খলিফা এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম।

সরকারি এই আদেশে স্বাক্ষর করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার। আদেশে বলা হয়, এই তিন কর্মকর্তা ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টে’ অংশ নেবেন। এই সফরের সময়কাল হবে ২ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো ৯ দিন (ভ্রমণের সময় বাদ দিয়ে)। যত দ্রুত সম্ভব সফর শুরুর কথাও বলা হয়েছে আদেশে।

আরও বলা হয়েছে, এই ভ্রমণের পুরো খরচ বহন করবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ থাকবে না, যাত্রাপথে বিরতির সময়টুকু কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে ধরে নেওয়া হবে, অনুমোদিত সময়ের পর কর্মকর্তারা দেশের বাইরে অবস্থান করতে পারবেন না এবং ফিরে আসার ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন। সবশেষে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে এই আদেশ জারি হয়েছে।

আদেশটির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবের ব্যক্তিগত সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব (প্রশাসন-১), হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অভিবাসন) এবং জননিরাপত্তা বিভাগের প্রোগ্রামারের কাছে।

এই ভ্রমণের পুরো খরচ বহন করবে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। এখানে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লেষ থাকবে না

এসব বিষয়ে জানতে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়। সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক কামরুজ্জামান বলেন, বিছানার চাদর ও বালিশের কভার পুলিশ সদস্যদের জন্য কেনা হচ্ছে। রাজস্ব খাতের ব্যয় থেকেই কেনাকাটা হচ্ছে। এ জন্য প্রথম সারির জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সদস্যদের পরিধেয় ও অন্যান্য বস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে রং গুরুত্বপূর্ণ। মূলত রং ও কাপড়ের মান যাচাইয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পুলিশ কর্মকর্তারা এ ধরনের সফরে যাচ্ছেন। এবারও একই কারণে পুলিশ মহাপরিদর্শকের জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর