কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডারিয়ার তিস্তানদীর সংযোগ ব্রিজটি প্রায় দুই বছর যাবৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়ে চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে এই ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করছেন। দুই বছর আগে এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে এই ব্রিজটির উপর বাঁশের সাকো নির্মাণ করে চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন ও সাবেক মেম্বার ফজল উদ্দিন জানান, ১৯৮৯ সালে তিস্তানদীর পূর্বতীর ঘেঁষে তিস্তাব্রীজ থেকে শুরু করে বুড়িরহাট, ডারিয়া, ঠুটাপাইকর, থেতরাই হয়ে চিলমারী পর্যন্ত বাধ নির্মাণ করে সরকার। বাধ নির্মাণের পর নদীর সাথে সংযোগ ব্রিজ না থাকায় অতিবৃষ্টির কারণে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের অনেক জায়গা পানি জমে তলিয়ে যায়। তৎকালীন মন্ত্রী মরহুম তাজুল চৌধুরীর স্বরনাপন্ন হন ডারিয়ার পাড়ের এলাকাবাসী। মন্ত্রী মহাদয়ের হস্তক্ষেপে কুড়িগ্রাম পাউবোর তত্ত্বাবধায়নে লোহার পাইপ দিয়ে নিমার্ণ করা হয় ডারিয়ার এই ব্রিজটি।
গত কয়েক বছরে তিস্তানদীর প্রবল ভাঙ্গন ও স্রোতের অতিরিক্ত চাপে ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এলাকাবাসী বারবার ব্রিজটি পুনঃসংস্কারের দাবী জানিয়ে আসলেও গুরুত্ব দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগী রেজু আহমেদ আক্ষেপ করে বলেন শুধু চলাচলের অসুবিধা নয়, তিস্তা একটি ভয়ংকর নদী ব্রিজটি উন্মুক্ত হওয়ায় যখন পানি বৃদ্ধি পায় তখন হুহু করে পানি ঢুকে কালার মাল্লী দোলা, বগিলাগাড়ীর দোলা ও ডারিয়ার দোলার কয়েকশত একর আবাদি জমির আমন ধান নষ্ট করে দিচ্ছে। গত কয়েক বছর থেকে এই অবস্থা। শতশত কৃষক আজ লোকসানের কারণে ধান চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এতে কৃষকের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি খাদ্য শষ্য উৎপাদনে সরকার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাহত হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: