ঢাকা-সিলেট অভিমুখে লংমার্চ বাতিল

সময় ট্রিবিউন | ২৭ জানুয়ারী ২০২২, ০২:৫২

প্রেস ক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিবেকবান নাগরিক সমাজের নেতারা-ছবি সংগৃহীত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙায় ঢাকা-সিলেট অভিমুখে বিবেকবান নাগরিক সমাজের ডাকা লংমার্চ বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এ কথা জানান বিবেকবান নাগরিক সমাজের পক্ষে কবি ও লেখক রাখাল রাহা।

এর আগে শাবিপ্রবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির সমর্থনে এই লংমার্চ ডাকা হয়েছিলো।

সমাবেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য লংমার্চ ও যাত্রাপথে পাঁচ জায়গায় সমাবেশ করার কথা ছিল। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙায় তা স্থগিত করা হয়েছে।

কবি ও লেখক রাখাল রাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আপনারা জানেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাহিনীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে আসছে। রাষ্ট্রের টাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। জনগণের টাকায় বেতন পান ভিসিরা।

ভিসিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের সেখানে পাঠানো হয়। আপনি তাদের নিরাপত্তা দেবেন, তাদের শিক্ষা দিবেন। আপনি প্রশাসনের লোক এনে তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করাবেন পেটোয়া বাহিনী দিয়ে, ছাত্রলীগ লেলিয়ে আপনি আপনার গদি রক্ষা করেন। এই যে পরিস্থিতি এই বিষয়ে আমাদের জবাব দিতে হবে। আমরা ছেড়ে দেবো না সামনের দিনগুলোতে। আমরা এই দেশের মানুষ, আমাদের সন্তানরা এই দেশেই পড়বে। আমরা বলতে পারবো না, টাকার অভাবে আমাদের সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রাখাল রাহা বলেন, আপনি কেন আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে ধ্বংস করছেন। কেন আজকে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন পরিস্থিতি? কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপদার্থদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন?

রাষ্ট্রচিন্তার সমন্বয়ক দিদারুল আলম ভূঁইয়া বলেন, আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের কমিটমেন্টে শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙতে সম্মত হওয়ায় আমাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। যদি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয় তাহলে আমরা অভিভাবকরা আবার মাঠে নামবো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: