শতভাগ যাত্রী নিয়েই চলছে বাস, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

সময় ট্রিবিউন | ১৬ জানুয়ারী ২০২২, ০৫:০৭

ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণ রোধে শনিবার থেকে বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচলের বিষয়ে বিআরটিএর নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সকাল থেকে সব বাসেই দেখা যায় শতভাগ আসনে যাত্রী। তবে ভাড়া বাড়েনি বলেও জানিয়েছে যাত্রীরা। এসব যানবাহনে ইচ্ছে মতোই চলছে যাত্রী পরিবহন। অধিকাংশই মানছেন না মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি। রাখা হয়নি কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থাও।

চালক-হেলপাররা জানান মালিক সমিতির নির্দেশনাতেই বাসের শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন করছেন তারা।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এদিকে পরিবহন মালিকরা বলছেন, পূর্বের ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ী চালানো সম্ভব নয়। শতভাগ আসনে যাত্রী পরিবহন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সাথে মৌখিক কথা হয়েছে বলেছে দাবি করে সমিতি।

এদিকে, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অর্ধেক আসনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে ট্রেন। বিভাগীয় ও জেলা শহরের স্টেশনগুলোতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি তদারিক করা হচ্ছে। মুখে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতসহ বিনা টিকিতে কাউকে যাত্রা করতে দেয়া হচ্ছে না। করোনার বিস্তার রোধে বরিশালে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। এ কারণে বুধবার থেকে ট্রেনে মোট আসনসংখ্যার অর্ধেক টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এখন থেকে সীমিত সংখ্যক টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইনে এবং বাকিটা কাউন্টার থেকে কেনা যাবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত সোমবার কিছু বিধিনিষেধ দেয়। গত বৃহস্পতিবার এ বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। বিধিনিষেধে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করবে ট্রেন, বাস ও লঞ্চ। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে হলে দেখাতে হবে টিকার সনদ।

বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে। এসময় টানা ৬৮ দিন গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

পরে ওই বছরের ১ জুন অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে বাস চালু হয়। তখন ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। পরে মালিকদের দাবিতে ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে যত সিট তত যাত্রী নিয়মে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে। ডিজেলের দাম লিটারে এক লাফে ১৫ টাকা বেড়ে গেলে গত ৮ নভেম্বর বাসের ভাড়া ২৭ থেকে ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়।

এই পরিস্থিতিতে অর্ধেক আসন খালি রেখে চলতে হলে আবার ভাড়া বাড়াতে হত। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়তেন। তাই আসনের সমান সংখ্যক যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: