মেসির দাম ১৫ লাখ টাকা। শুনতে একটু অবাক হলেও আসলে এখানে খেলোয়াড় মেসির কথা বলা হয়নি। জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বিপ্লব মিয়া শখের বসে গরুর নাম রেখেছেন মেসি। গরুটি অস্ট্রেলিয়ান ষাঁড়।
মেসি নামের এই বিশাল ষাঁড়টির গায়ের রং কালো সাদা মিশ্রিত, ওজন প্রায় ১ হাজার ৬০০ কেজি (৪০ মণ), দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।
ভালো দাম পাওয়া আশায় প্রায় চার বছর ধরে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে আসছেন বিপ্লব ও তার পরিবারের লোকজন। চলতি বছরের ঈদুল আজহায় মেসিকে হাটে বিক্রি করবেন বলে আশা তার। তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবার কোরবানি পশুর হাট বসবে কিনা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তিনি।
মেসিকে (গরু) দেখতে আসা রইচ উদ্দীন বলেন, এবছর তাদের গ্রামে এই গরুটিই সব থেকে বড়। যার ওজন প্রায় ৪০ মণের মতো। দেখতেও অনেক সুন্দর।
গরুর মালিক বিপ্লব মিয়া বলেন, বিশাল আকৃতির এই মেসির বয়স প্রায় চার বছর। মেসিকে দেখাশোনা করেন ২ জন লোক। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি বিশালকৃতির মহিষ। উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৯ ফিট। লম্বা ও উচ্চতা একটি মহিষের থেকেও অনেক বড়।
মেসির খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক টাকা ব্যয় হয়। খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কেজি ভেজানো ছোলা, গমের ভুসি এবং সবুজ কাঁচা ঘাসসহ বিভিন্ন খাবার।
তিনি আরও বলেন, ফ্যানের বাতাস ছাড়া থাকতে পারেনা অস্ট্রেলিয়ান এই ষাঁড়। বিদ্যুৎ না থাকলেও মেসির জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিদিন তিনবার করে গোসল করাতে হয় মেসিকে। গোসলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয় যাতে ঠান্ডা না লেগে যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: