তালেবানের বিরুদ্ধে নারী পুলিশকে হত্যার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক | ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৪৮

ছবি: ইন্টারনেট

তালেবান জঙ্গিরা আফগানিস্তানের এক প্র্রাদেশিক শহরে এক নারী পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে তার আত্মীয়রা।

স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে এই নারী পুলিশের নাম বানু নিগার এবং তাকে মধ্যাঞ্চলের ঘোর প্রদেশের ফিরোজকোহ শহরে তার আত্মীয়দের সামনেই গুলি করা হয়।

আফগানিস্তানে যখন নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের বিভিন্ন খবর আরও বেশি করে আসছে, তখন এই হত্যাকান্ড ঘটলো।

বিবিসি তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চেয়েছে। নিহতের পরিবার বলছে, স্থানীয় তালেবান এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এই ঘটনার ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ ফিরোজকোহ শহরে অনেকেই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। এই ঘটনার এমন কিছু ছবি আত্মীয়-স্বজনরা শেয়ার করেছেন, যাতে একটি কক্ষের দেয়ালে ছিটকে পড়া রক্তের দাগ দেখা যাচ্ছে, সামনে পড়ে আছে একটি লাশ। নিহতের মুখ মারাত্মকভাবে বিকৃত।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিগার স্থানীয় কারাগারে কাজ করতেন এবং আট মাসের গর্ভবতী ছিলেন।

শনিবার তিনজন বন্দুকধারী তার বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং বাড়িতে তল্লাশি চালায়। এরপর পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে তাদের সামনেই বানু নিগারকে গুলি করা হয়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হামলাকারীদের আরবীতে কথা বলতে শোনা গেছে।

গত ১৩ই অগাস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তারা নিজেদেরকে আগের চেয়ে অনেক সহনশীল বলে তুলে ধরার চেষ্টা করছিল। কিন্তু আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনো তাদের নিষ্ঠুরতা এবং নির্যাতনের নানা খবর পাওয়া যাচ্ছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো আফগানিস্তানে নানা প্রতিশোধমূলক হত্যাকান্ড, লোকজনকে বন্দী করা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অনেক ঘটনার তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তালেবান আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিল যে তারা সাবেক আফগান সরকারের সঙ্গে যারা কাজ করেছে - তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিশোধ নেবে না।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: