আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) তিনি বলেছেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির খুবই কাছাকাছি।’ রয়টার্স, সিএনএন, আল জাজিরা, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্সের প্যারিস ও মিসরের কায়রোসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এই বিষয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে। এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর।
তবে কখনোই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা জানা যায়নি। এই প্রথম হোয়াইট হাউস একটি নির্দিষ্ট সময়ের কথা প্রকাশ করল।
নির্বাচনী প্রচারের কাজে নিউইয়র্ক সফর করছেন জো বাইডেন। সফরকালে সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান যে, গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা কোন অবস্থায় আছে এবং কবে নাগাদ এটি কার্যকর হতে পারে? জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আশা করি, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকের মধ্যেই এটি কার্যকর হবে।’
বাইডেন বলেন, তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান তাকে বলেছেন, ‘আমরা (যুদ্ধবিরতির) খুবই কাছাকাছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরাই কাছাকাছি, খুবই কাছাকাছি। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।’
এ সময় আগামী সোমবার নাগাদ গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে, আগামী সোমবারের মধ্যেই আমরা যুদ্ধবিরতি দেখতে পাব।’
বাইডেনের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যার মাত্র কয়েক দিন পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লক্ষ্যে মিশিগান রাজ্যে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই রাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থী ভোটাররা বাইডেনের ইসরায়েলপন্থী অবস্থানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজা যুদ্ধ আঞ্চলিক পর্যায়ের যুদ্ধে রূপ নেওয়ার আগেই তা বন্ধের লক্ষ্যে শুরু থেকেই চাপ দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারপরও টানা সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। গাজার প্রায় শতভাগ আবাসিক ভবনই ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজায় একমাত্র অবশিষ্ট অঞ্চল রাফাহে অভিযান চালানোর মৌখিক সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। দেশটির নেতারা বলেছেন, আগামী রোজা শুরু হওয়ার আগেই হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে। নইলে রাফাহে অভিযান চালানো হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: