লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের উপ-প্রধান নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৩ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:৪৮

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় হামাসের উপ-প্রধান নিহত

ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলী আগ্রাসন লেবানন পর্যন্ত পৌঁছেছে। দেশটির রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের উপ-প্রধান সালেহ আল আরোরি নিহত হয়েছে।

এ হামলায় হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের দ’ুজন কমান্ডারও নিহত হয়েছে।
লেবাননের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়েছেন।

উর্ধ্বতন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েলী হামলায় সালেহ আল আরোরি ছাড়া তার দেহরক্ষীও নিহত হয়েছে।
হামাস জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর দাহিয়ে তাদের কার্যালয়ে বিস্ফোরণে সাত জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে উপ-প্রধান সালেহ আল-আরোরিসহ ওই তিন জন রয়েছে।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত হামাসের যতো কমান্ডার নিহত হয়েছে আরোরি এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী। এছাড়া যুদ্ধ শুরুর পর লেবাননে ইসরায়েলের এটিই প্রথম হামলার ঘটনা।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেছেন, কোনো পরিস্থিতির জন্য তার দেশের বাহিনীগুলো প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে হামাস বলেছে, আরোরির হত্যাকান্ড তাদের পরাজিত করতে পারবে না।
হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ে এক বিবৃতিতে এই হত্যাকা-ের নিন্দা জানান এবং ইসরায়েলের হামলাকে কাপুরুষোচিত বর্ণনা করে বলেছেন, ইসরায়েল লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে ও চলমান সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এছাড়া এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান। লেবানন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো ইসরায়েলের প্রতি বিশেষ করে লেবাননে যে কোন উত্তেজনাময় পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

হামলার পর লেবাননের শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈরুত শহরের কেন্দ্রস্থলে সালেহ আল-আরোরি ও তার সঙ্গীদের হত্যার অপরাধকে লেবানন এবং এর জনগণ নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও প্রতিরোধের বিরুদ্ধে একটি বিপজ্জনক আগ্রাসন বলে মনে করে। এই অপরাধের জন্য ‘প্রতিক্রিয়া ও সাজার’ মুখোমুখি হতে হবে বলে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার দিয়েছে গোষ্ঠীটি।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপ-প্রধান সালেহ আল-আরোরির বয়স ৫৭ বছর। তিনি হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি হামাসে যোগ দিয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তিনি পশ্চিম তীরে গোষ্ঠীটির সামরিক উপস্থিতি প্রতিষ্ঠায় সহায়তাও করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: