ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেয়ায় প্রস্তাবটি আটকে গেছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি তোলা হয়।খবর বিবিসির।
শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি আহ্বান করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করলেও তার সহপৃষ্ঠপোষক ছিল অন্তত ৯৭টি দেশ। পরিষদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য।
শেষ পর্যন্ত ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের ভেটো (আমি মানি না) ক্ষমতা রয়েছে। এদের কোনো একটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলে তা পাস করা যায় না।
আরব নিউজ জানিয়েছে, গাজায় সহিংসতা বন্ধ করার জন্য অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক আহ্বানের মধ্যে ওয়াশিংটনের এই ভেটো আসলো। প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেছেন, ‘প্রস্তাবটি ভারসাম্যপূর্ণ নয়। এতে বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়নি।’
এদিকে গাজা ইস্যুতে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছে রাশিয়া। এর ফলে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি। তিনি বলেন, ‘আবারও আমেরিকার কূটনীতি পোড়ামাটি নীতির প্রতি সমর্থন জানাল এবং এ কারণে এই ধ্বংসযজ্ঞ।’ ওয়াশিংটন ‘সাধারণ বোধবুদ্ধির’ পরিচয় দিতেও ব্যর্থ হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: