জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেল গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫০

সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি ক্যান্সার হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। এটি গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল ছিল এবং ইসরায়েলের টানা অবরোধের কারণে জ্বালানি সংকটে বুধবার (১ নভেম্বর) সেটি বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের ফলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং খাদ্য, পানি এবং বিদ্যুতের সরবরাহও ব্যাপকভাবে সীমিত করা হয়েছে। এর ফলে গাজার হাসপাতালগুলো এখন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতদের ভিড়ে পরিপূর্ণ এবং জ্বালানিসহ নানা সংকট চিকিৎসা কর্মীদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক সুভি সুকেক বলেছেন, এই হাসপাতালটি আর কাজ করছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বকে বলব, হাসপাতালকে পরিষেবার বাইরে রেখে ক্যান্সার রোগীদের নির্দিষ্টভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না।’

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, টানা প্রায় একমাস ধরে হওয়া ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণে ৮ হাজার ৭৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ২ হাজারের বেশি নারী এবং প্রায় পাঁচশো বয়স্ক মানুষও রয়েছেন।

তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো গাজা ভূখণ্ডের ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৬টিই এখন পরিষেবার বাইরে চলে গেল। এছাড়া গাজার ৭২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের মধ্যে ৫০টিরও বেশি ক্লিনিকও বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘হাসপাতালগুলো চালু না থাকলে গাজার হাজার হাজার রোগী জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়ে যাবেন। ক্যান্সার রোগীদের স্বাস্থ্য ইতোমধ্যেই নাজুক। যদি তারা তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পায়, তাহলে এটা তাদের জন্য মৃত্যুদণ্ড।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: