এরদোয়ান চান এফ-১৬ যুদ্ধবিমান; বাইডেন চান সুইডেনের ব্যাপারে অনাপত্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ৩১ মে ২০২৩, ০২:২৪

ছবিঃ সংগৃহীত

সোমবার তুরস্কের নয়া প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ফোনে অভিনন্দন জানান বাইডেন। এসময় বিভিন্ন বিষয় নিতে তাদের মাঝে আলাপ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অত্যাধুনিক এফ–১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে চান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এই আগ্রহের বিপরীতে বাইডেন তাঁকে পাল্টা শর্ত দিয়েছেন। পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হতে সুইডেনের আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আসছে তুরস্ক। বাইডেন চান, এই আপত্তি তুলে নেবেন এরদোয়ান।

তুরস্কের রাজনীতিতে দুই দশক ধরে আধিপত্য ধরে রাখা এরদোয়ান প্রথমে ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, পরে হন প্রেসিডেন্ট। গত রোববার তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিয়ে চলা দেশটির আগামী পাঁচ বছর নেতৃত্ব দেবেন এরদোয়ান।

নির্বাচনে জয়ের পর এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন বাইডেন। এই ফোনালাপে এফ–১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে আঙ্কারার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এরদোয়ান। বাইডেনও তাঁকে ন্যাটো এবং সুইডেন ইস্যুতে ওয়াশিংটনের আগ্রহের কথা জানিয়ে দেন। সংবাদমাধ্যমকে এই আলাপের কথা জানিয়েছেন বাইডেন নিজেই।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দীর্ঘদিন নিরপেক্ষতার নীতি মেনে চলেছে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ হামলার শুরুর পর দেশ দুটির নিরপেক্ষ নীতিতে পরিবর্তন আসে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ধারণা, তাদের দেশেও হামলা চালাতে পারে মস্কো। তাই দেশ দুটি আগাম নিরাপত্তার জন্য ন্যাটোতে যোগ দিতে চায়। কারণ, কোনো সদস্যদেশে আক্রমণ হলে একযোগে পাল্টা জবাব দেবে ন্যাটোর বাকি সদস্যরা। এটাই এই সামরিক জোটের নিয়ম।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড গত বছর ন্যাটোর সদস্য হতে আবেদন করে। আপত্তি তোলে তুরস্ক। ন্যাটোর আরেকটি নিয়ম হলো, নতুন সদস্য যুক্ত করতে হলে বর্তমান সব সদস্যের সম্মতির দরকার হবে। তাই ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের বাধার কারণে এই উদ্যোগ আটকে যায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: