ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিসিবি ও হকি ফেডারেশন সভাপতির অপসারণের দাবিতে শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশ

সময় ট্রিবিউন | ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১১:২০

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রের অপরাধে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিসিবি চেয়ারম্যান ও হকি ফেডারেশনের সভাপতির অপসারণের দাবিতে আজ ২২ নভেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।

দেশের ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের উত্থাপিত দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংবাদিক আবেদ খান, রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার, অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, অধ্যাপক ডা: মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়ুয়া, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, কবির চৌধুরী তন্ময়, ভাস্কর শিল্পী রাশাসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

সমাবেশের বক্তব্যে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সময় একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের ক্রিকেট ও হকি দলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার অপরাধে অবিলম্বে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিসিবি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যদের দ্রুত অপসারণ করার জন্য সরকারের নিকট দাবি জানাচ্ছি। আগামী ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তান হকি দলের টুর্নামেন্ট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পতাকা আইন লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর অপরাধে অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডসহ পাকিস্তানকে বাংলাদেশের জনগণের নিকট আনুষ্ঠানিক ভাবে ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় পাকিস্তানের সাথে সকল ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে। একাত্তরে গণহত্যার মূলহোতা জেনারেল নিয়াজির ভাতিজা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। তাকে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে আসতে দিবো না। প্রয়োজনে এয়ারপোর্টের সামনে কঠোর কর্মসূচী পালন করবো।"

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, "সম্প্রতি দেশের ৪০ বিশিষ্ট নাগরিক কর্তৃক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বিসিবি ও বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন এর সভাপতির পদত্যাগ দাবি এবং অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং তাদের দেশের সরকারের তরফ থেকে ক্ষমা ও ভুল স্বীকারের আনুষ্ঠানিক বার্তার দাবি জানানো হয়েছে। আমি তাঁদের দাবির সাথে একমত পোষণ করছি। একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য যারা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান রেখেছে তাদের ক্রিকেট ও হকি দলকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে অনেক বড় গুরুতর অপরাধ করেছে বিসিবি ও হকি ফেডারেশন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির শাসনামলে এসব মেনে নেয়া যায় না।"

সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, "বাঙালির সবচেয়ে গৌরবের মাসই হচ্ছে বিজয়ের মাস, ডিসেম্বর। অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এই বিজয়ের মাসেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, আমাদের সমস্ত অর্জনকে চূড়ান্তভাবে কালিমা লেপন করা হচ্ছে। আমরা দেখতে পারছি দেশ যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে, ঠিক সেই সময়ে ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান অর্থাৎ আজকের মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আগামী ১৬ ডিসেম্বরে ভারত-পাকিস্তান হকি ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু নির্ধারণ করে কলংকিত করা হচ্ছে আমাদের হকিকে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে মিরপুরের একাডেমি মাঠে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়ানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দুটিকেই ইচ্ছাকৃত ও ষড়যন্ত্র করেই করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি; যা আমাদের সমস্ত লড়াই-সংগ্রাম-অর্জনকে লুট করারই সামিল। এই সমস্ত কিছুই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের সময়ে দেশে ঘটতে দেখা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যারা এগুলো করেছে তারা কোনভাবেই সৎ উদ্দেশ্যে করেনি।"

অধ্যাপক ড. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, "স্বাধীন বাংলাদেশে মিরপুরের একাডেমি মাঠে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উড়ানোর ধৃষ্টতা দেখাল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এই ঘটনাকে কোনও ক্রমেই হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই, দেখা যাবে না। এমন একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পতাকা উত্তোলন সুস্পষ্টভাবেই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তারা যে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করেনি, সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ ৭১’এ সরাসরি যুদ্ধে পরাজিত শক্তি পাকিস্তান যে আজও আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি বা স্বীকার করেনি- তা তারা নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে এবং অতীতেও করেছে। এমন নজীর আমরা পূর্বেও লক্ষ্য করেছি। ৮০’র দশকেও দেখেছি এই বাংলায় ইমরান খানের ধৃষ্টতা!বাংলাদেশ ক্রিকেট শাসক সংস্থা বিসিবি পুরোপুরি নিশ্চুপ! আমরা অবাক হচ্ছি এ ব্যাপারে সরকারের নীরবতা প্রত্যক্ষ করেও।"

অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, "মিরপুরে পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানো হয়েছে। বিসিবি এখনো পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আগামী ১৬ ডিসেম্বর হকি ফেডারেশন পাকিস্তানের হকি দলকে বাংলাদেশে এনে আরেকটি ধৃষ্টতার দেখিয়েছে। আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"

ভাস্কর শিল্পী রাশা বলেন, "মিরপুরে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর ঘটনায় বিসিবিকে ধিক্কার জানাচ্ছি। এমন একটি ঘটনায় নীরবতা কি জাতি হিসেবে আমাদের দুর্বলতা ও চেতনায় কালব্যাধিকেই ইঙ্গিত করে না? আমাদের চেতনা কি এতোখানিই ক্ষয়প্রাপ্ত ও বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে? এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যে এক সময় প্রতিবাদেরও কোনও সুযোগ থাকবে না- এর চেয়ে মর্মান্তিক নির্জীবতা ও দেউলিয়াপনার উদাহরণ কি পৃথিবীর কোথাও আছে? এমতাবস্থায়, আমরা মনে করি, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তার দায় এড়াতে পারে না, সরকারও তার দায় এড়াতে পারে না। এতো কিছুর পরে আমরা মনে করি না যে স্বাধীন বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালনের অধিকার আর তাদের আছে। আমরা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, হকি ফেডারেশন ও বিসিবিকে তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।"

রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, "পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এ আচরণকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অপমান করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড তো বটেই; তাদের দেশের সরকারের তরফ থেকেও ক্ষমা ও ভুল স্বীকারের আনুষ্ঠানিক বার্তা আশা করছি। অন্যথায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির মানুষদের নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসের মদদদাতা পাকিস্তানের সকল ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার দাবিতে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর অপরাধে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি বিসিবির নীরব ভূমিকার অপরাধে বিসিবি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তান হকি দলের সফর বাতিল করতে হবে।"

অনলাইন এক্টিভিস্ট কবির চৌধুরী তন্ময় বলেন, "বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে। পাকিস্তানের দোসরদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।"

সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানের পতাকা মিরপুরে খেলার মাঠে ওড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এবিষয়ে বিসিবির নীরব ভূমিকার অপরাধে বিসিবির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। পাকিস্তানের সরবরাহকৃত গ্রেনেড দিয়ে বিএনপি-জামাত একুশে আগস্টে নাজমুল হাসান পাপনের মাতা শহীদ আইভি রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ বিরোধী অপকর্মের বিরুদ্ধে বিসিবি এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সাথে বেঈমানী।"

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আল মামুন বলেন, "আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ চলাকালীন সময় দুই দেশের পতাকা ওড়ানো হয়। কিন্তু অনুশীলনে কোন দেশের পতাকা ওড়ানো এটাই প্রথম এবং ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সময় আমাদেরকে এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দেখতে হলো যা কখনোই মেনে নিবে না বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। আইসিসি ও বিসিবিকে অবশ্যই বাংলাদেশের জনগণের নিকট এধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশের পতাকা বিধি লঙ্ঘন করে দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে পাকিস্তানের পতাকা বাংলাদেশে ওড়ানোর পিছনে মূল কারণ খুঁজে বের করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার মূলহোতা জেনারেল নিয়াজীর ভাতিজা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এহেন ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ একাত্তরে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ নেয়ার জন্যই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নানাবিধ ষড়যন্ত্র এখনো চলমান রয়েছে। পাকিস্তানি ক্রিকেট দলের এমন ধৃষ্টতায় বিসিবি ও আইসিসির নীরবতার কারণে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এবিষয়ে আইসিসি ও বিসিবিকে অবশ্যই তাদের অবস্থান জাতির সামনে পরিস্কার করতে।

হবে। এর আগেও ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বাংলাদেশকে কটাক্ষ করেছিল। একাত্তর সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা আমরা ভুলে যায়নি। এই মিরপুরেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী নারকীয় গণহত্যা, লুটপাট ও ধর্ষণ চালিয়েছিল। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীতে সেই মিরপুরে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসররা চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে যা মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের জন্য চরম অবমাননাকর। বিসিবির নীরব ভূমিকার অপরাধে বিসিবি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপনকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্রের অপরাধে হকি ফেডারেশনের সভাপতিসহ পরিচালনা পর্ষদের সকলকে অপসারণ করতে হবে। হকি ফেডারেশনের এধরনের ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিসিবি,হকি ফেডারেশন ও পাকিস্তান ক্রিকেট টিমকে বাংলাদেশের জনগণের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি পাকিস্তানী ক্রিকেট ও হকি দলের সকল ধরনের খেলা বাতিল করতে হবে। অন্যথায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ আরোও কঠোর কর্মসূচী পালন করবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: