মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আজ শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সাজসজ্জা। আয়োজনে বিন্দুমাত্র কমতি রাখতে রাজি নন ভক্তরা। আর প্রতিমা শিল্পী ও ডেকোরেটরের কর্মীদের যেন ফুরসতই নেই। প্রতিমাকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন আর মণ্ডপ ও মন্দিরকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে আলোকসজ্জা ও বিষয়বস্তুকে ফুটিয়ে তুলতে কাজ চলছে। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের দুর্গামণ্ডপে প্রতিমা স্থাপনের কাজ হয়ে গেছে।
আজ সোমবার পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার ও সূত্রাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার অস্থায়ী মণ্ডপে প্রতিমা স্থাপন করা হবে। শাঁখারীবাজারের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের দুর্গা পূজায় বরাবই থাকে ব্যতিক্রমী আয়োজন। প্রতিমা ও মণ্ডপে প্রতিবারই এক একটি থিম নিয়ে পূজার আয়োজন করে এই ক্লাবটি। এ বছর ক্লাবের পূজার ৫০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। তাই আয়োজনেও থাকছে ভিন্নতা। বিশ্ব্যাবপী যুদ্ধ, মহামারিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিমা ও মণ্ডপ সাজাচ্ছে ক্লাবটি।
প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের উৎপল কুমার ঘোষ ভোরের কাগজকে বলেন, প্রতি বছর একেকটা থিম নিয়ে পূজার আয়োজন করা হয়। আমরা দেবী দুর্গাকে দেখতে পাই অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধরত অবস্থায়। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিষয়েও কিন্তু যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধকে প্রাধান্য দিয়েই এ বছর আমরা প্রতিমা নির্মাণ করেছি। মণ্ডপ সাজানো হয়েছে এমনভাবে যে, সেখানে দেখানো হবে যুদ্ধ করতে করতে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে দেবী সপরিবারে মর্তে আসছেন। গণেশ ও কার্তিক মায়ের সঙ্গে যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েছেন। সেখানে থাকবে ৫টি অসুর। মণ্ডপ জঙ্গলের থিম তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের থিমকে তুলে ধরতে থাকবে ব্যতিক্রমী আলোকসজ্জা। স্টেজও সাজানো হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: