হাত দিয়ে গ্রিল ভেঙে বাসা অফিসে চুরিতে পারদর্শী নজরুল ইসলাম সোহাগ নামে এক তরুণ। ১৭ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে আসছিল সোহাগ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, প্রায় তিন হাজার চুরির কথা স্বীকার করেছে সে। অনায়াসে দশতলা ভবন বেয়ে উঠতেও পারদর্শী সে।
বাসা কিংবা অফিসে উঠে মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রী চুরি করাই তার পেশা। এই লাইনে তার অভিজ্ঞতা ১৭ বছরের।
বেশকিছু চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধান পায় চক্রটির যার প্রধান নজরুল ইসলাম সোহাগ।
প্রতি মাসে অন্তত ১৫টি চুরি করে সে। সেই হিসেবে গত ১৭ বছরে প্রায় তিন হাজারেরও বেশি চুরির কথা স্বীকার করেছে সোহাগ। চোরাই মোবাইল, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রির জন্যও রয়েছে তার নিজস্ব সিন্ডিকেট।
সোহাগ জানায়, রাতে বাড়ির দারোয়ান যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন বাড়ির পাইপ বেয়ে উঠে বারান্দার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে চুরির কাজটি করা হয়।
পুলিশ বলছে, এসব গ্রিল কাটা চোরদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে তাদের হিমশিম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান বলেন, যারা এ ধরনের কাজ করে তারা আসলে রাজধানীতে আসা ভাসমান মানুষ। জন্ম হয়েছে নোয়াখালীর জাহাজির চর অথবা বরিশালের ভাঙা একটা জায়গাতে, সেখানে থেকে ভেসে ভেসে শহরে এসে রাস্তায় থাকে। রাস্তায় ঘুমায় এরা আবার অপরাধ করে রাস্তায় মিলিয়ে যায়। এগুলো কতগুলো মৌলিক সমস্যা, যেগুলোর জন্য তাদের ট্যাক (শনাক্ত) করা কঠিন হয়ে যায়। সোহাগ চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: