ঈদে কোনো কিছু ঘটার আশঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

সময় ট্রিবিউন | ২০ জুলাই ২০২১, ২১:৪৭

ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে কোন কিছু ঘটার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, সম্প্রতি যেসব বোমা আমরা উদ্ধার করেছি সেগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। এগুলো বিস্ফোরণ ঘটলে ম্যাচাকার হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ জঙ্গিদের সক্ষমতা বেড়েছে। যে কারণে আমরা মনে করছি জঙ্গিদের প্রস্তুতি আছে। তবে আমরাও বসে নেই। এই বিষয়ে আমাদের যারা কাজ করছে তারা খুবই এক্সপার্ট। তাই আমরা মনে করছি না ঈদে কোনো কিছু ঘটার আশঙ্কা আছে!

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ঈদুল আজহায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন কমিশনার।

কমিশনার বলেন, আমরা খুবই সতর্ক আছি। সম্প্রতি তাদের (জঙ্গিদের) সক্ষমতা বেড়েছে। তাদের বোমা বানানোর যে ক্যাপাবিলিটি সেটাও বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমি কমিশনার হওয়ার আগে রাজধানীর পাঁচটি চেকপোস্টে জঙ্গি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেসব বোমা কিন্তু বেশি শক্তিশালী ছিল না। একেবারেই অল্প কাজ জানা লোকের হাতে তৈরি হয়েছিল। কম শক্তিশালী হওয়ায় পুলিশ সদস্যরা বিশেষ আহতও হয়নি। তবে সম্প্রতি যেসব বোমা আমরা উদ্ধার করেছি সেগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। এগুলো বিস্ফোরণ ঘটলে ম্যাচাকার হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ তাদের সক্ষমতা বেড়েছে। তারা নিয়োজিতদের প্রশিক্ষিত করে বোমা বানানোর কাজে তারা নিয়োগ করতে পেরেছে। যে কারণে আমরা মনে করছি জঙ্গিদের প্রস্তুতি আছে। তবে আমরাও আসলে নেই। এই বিষয়ে আমাদের যারা কাজ করছে তারা খুবই এক্সপার্ট।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ঘটনা ঘটনার আগেই আমরা খবর পাচ্ছি। ডিএমপি’র সিটিটিসির পাশাপাশি কাজ করছে এটিইউ, র‌্যাবের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট। ফলে যেখানেই যতোটুকু তথ্য আমরা পাচ্ছি সেখানেই কাজ করছি।

তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে কোনো জঙ্গি আস্তানা হলেই অভিযানে যাচ্ছে ডিএমপি’র সিটিটিসি।

তবে অন্য ইউনিটগুলোর সক্ষমতা কী কম, নাকি জঙ্গিদের টার্গেটই ঢাকা? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই জঙ্গি নেটওয়ার্কে ঢুকছে কারা? সেটা একমাত্র তারাই জানেন যারা এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের তথ্য ভান্ডারে ঢুকে কাজ করছেন। যেটা ডিসক্লোজ করা ঠিক হবে না।

সম্প্রতি জঙ্গিবাদী তৎপরতা বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে বাইরে যাবার সুযোগ কম, বিনোদনের সুযোগ কম। এই সময়ে অনেকেই ইন্টারনেটে বসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছে, তথ্য উপাত্ত দেখছে পড়ছে। এক সময় তারা জঙ্গিবাদী ট্রাপে পড়েযাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের নজরদারিও কম না। নইলে বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। তা তো ঘটেনি। সম্প্রতি ভারতে তিনজন বড়মাপের জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য ছিল। এ ধরণের তথ্য কিন্তু আমরা পরস্পর আদান-প্রদান করে থাকি। এই তিনজন ছেলে জিহাদের জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করেছে। এই তথ্যটা আমরা জানতাম যেটা আমরা যথাযথ সময়েই ভারতকে জানিয়েছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম, কৃঞ্চপদ রায়, হাফিজ আক্তার, মুনিবুর রহমান, মফিজ উদ্দিন, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: