সিসি ক্যামেরার আওতায় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তা

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি | ২৯ জুন ২০২১, ০৪:৪০

ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবিত সেফ সিটি প্রকল্পের আওতায় ডেভেলপমেন্ট অব ঢাকা সিটি ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম নামের একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করছে পুলিশ সদর দপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কেরানীগঞ্জ সন্ত্রাস, ডাকাত, ছিনতাইকারী থেকে নিরাপদ করার জন্য এবং উন্নত দেশের আদলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করতে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তায় (সিসি) টিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

গত বছর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে কেরানীগঞ্জের অগ্রখোলা মেকাইল গ্রাম সহ বিভিন্ন রাস্তা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে এবছর এলাকাটিতে অটো রিকশা ও সিএনজি ডাকাতি ছিনতাই সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল। এ সমস্যা সমাধানে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবু ছালাম মিয়া পিপিএম, শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন লিটন, ও স্থানীয় ব্যবসায়ী তাইজউদ্দিন সরকারের উদ্যোগে গ্রামের বিভিন্ন শুনশান রাস্তায় সিসিটিভি লাগানো হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুন) সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা রাস্তা পরিদর্শন করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) সালাম মিয়া।

এ বিষয়ে, ওসি সালাম মিয়া বলেন, সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যত বেশি ক্যামেরা বসানো হবে ততটাই নিরাপদ হবে গ্রামের রাস্তাগুলো।

তিনি আরো জানান, সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণের পর দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন চলাচলের ত্রুটি ধরতে কাজ করবে এই ক্যামেরা পদ্ধতি।

রাস্তাটিতে হাজারো মানুষের চলাচল এমন জনবহুল ও গলি-মহল্লার এলাকায় কোথাও কিছু ঘটলে তা বের করতে আমাদের বেগ পেতে হয়। তাই প্রতিটি এলাকা আমরা সব সময়ের জন্য নজরে নিয়ে আসতে চাই। কেরানীগঞ্জকে নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়ও কিছু ক্যামেরা বসানো হবে।’

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন লিটন জানান, বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে যে সিসি ক্যামেরাগুলো দেখা যায় সেগুলো এলাকাভিত্তিক, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে, ইউনিয়ন পরিষদ এবং পুলিশ প্রশাসনের নিজস্ব উদ্যোগে হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সেগুলো মনিটরিং করার মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আলোচিত এমন অনেক ঘটনায় সিসি ক্যামেরা থাকলে সহায়তা পাচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তারা। আশাকরি এখন এলাকাবাসী নির্বিঘ্নে রাস্তায় চলাচল করতে পারবে।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: