সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে করপোরেশন গৃহীত কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ধোলাইখাল জলাধারের পরিবেশ হাতিরঝিলের চেয়েও সুন্দর ও নান্দনিক হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বুধবার (১৭ মে) ধোলাইখাল জলাধার সবুজায়ন ও নান্দনিক পরিবেশ উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ধোলাইখাল জলাধার পুরান ঢাকার একটি ফুসফুস। পুরান ঢাকার একটি আকাঙ্ক্ষার জায়গা। এই এলাকার জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণে ১৭ মে আমরা এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা করতে পেরেছি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই জলাধার উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের শুভ সূচনা করতে পারায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ইনশাআল্লাহ আগামী এক বছরের মধ্যেই এই নোংরা দৃশ্যপট, ভাগাড়ের দৃশ্যপট পরিবর্তিত হয়ে হাতিরঝিলের চেয়েও সুন্দর, সবুজ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
মেয়র তাপস বলেন, এখানে যেমনি সুপ্রশস্ত হাঁটার পথ থাকবে তেমনি এই এলাকার ছেলেমেয়েরা এখানে আসবে। সাইকেল চালিয়ে নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করবে। এখানে সবুজায়ন হবে, উন্মুক্ত মঞ্চ থাকবে। যেখানে আমরা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা করব। এ ছাড়াও এখানে পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকবে। ঘাটলা থাকবে, মাঠ থাকবে। শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। ঝরনা থাকবে, খাবারদাবারের ব্যবস্থা থাকবে। এখানে আমরা নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করব।
ধোলাইখালের পানি দূষণমুক্ত রাখতে নানা উদ্যোগ তুলে ধরে মেয়র বলেন, এখানে অনেক পয়োঃসংযোগ আছে। সেগুলো আমরা সরিয়ে দেব, স্থানান্তর করব। যাতে করে কোনো পয়োঃসংযোগ সরাসরি এই পানি দূষিত করতে না পারে। সেই ব্যবস্থা আমরা করব। আমাদের এই ধোলাইখাল দূষিত হতে পারবে না। এখানে যে পলি বর্জ্য জমে আছে সেগুলো আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে অপসারণ করব। পাশাপাশি বর্ষায় যে মৌসুমী বৃষ্টি হয়, সেই বৃষ্টির পানিও আমরা সংরক্ষণ করব। আমাদের সামগ্রিক কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে আমরা গড়ে তুলবই তুলব ইনশাআল্লাহ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এসটি/এসকে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: