দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতি বাজেটেই বরাদ্দ রাখার ঘোষোণা দিলেন তাপস

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ১২ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৪০

সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় সংগঠিত যে কোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে প্রতি বছর ঘোষিত বাজেটে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ডিএসসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ১৯তম বোর্ড সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা একটি জনবহুল শহর। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে আমরা লক্ষ্য করি, প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে আগুনের কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু এ খাতে অর্থ সংস্থান না থাকায় মানবিক এ বিপর্যয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পারি না। অথচ আমরা প্রতি বছরই বাজেটে ঐচ্ছিক তহবিল রাখি, বিভিন্ন খাতে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখি। সেভাবেই দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমরা ‘দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় মানবিক সহায়তা নীতিমালা-১৪২৯’ এ সভায় উপস্থাপন করব।

অনুমোদন পেলে এ নীতিমালার আওতায় প্রতি বছরের বাজেটে দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা অর্থ সংস্থান রাখার ঘোষণা দেন তাপস। এতে যে কোনো দুর্যোগেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সভায় ‘দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় মানবিক সহায়তা নীতিমালা-১৪২৯’ অনুমোদন পায়। এর আগে বোর্ড সভায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সিরাজুল ইসলাম ভাট্টিকে সভাপতি করে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাইফুল ইসলাম, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুর রহমান মিয়াজী, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোজাম্মেল হক, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মান্নান, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মকবুল হোসেন, সংরক্ষিত আসন ১৯-এর শেফালী আক্তার, সংরক্ষিত আসন ১৯-এর ফারহানা ইয়াছমিন কুয়াশা ও সংরক্ষিত আসন ১০-এর শামসুন নাহার ভূঁইয়াকে কমিটির সদস্য করা হয়।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ এর ধারা ৫০(১) এর আলোকে এই স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। বোর্ড সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও ছিলেন- ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক হায়দর আলী, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম।

এসটি/এসকে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: