ব্রয়লারের দাম কমানোর হুশিয়ারি

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:৫৫

সংগৃহীত

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকা যৌক্তিক মনে করা হলেও বাজারভেদে তা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা পর্যন্ত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে ব্রয়লার মুরগির দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের নিত্যপণ্য বিক্রয়কারী ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম শেষে এসব কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

এসময় প্রয়োজনে প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি ১০ রোজার মধ্যে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও দাবি করা হচ্ছে।

এদিকে আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জরুরি সভা ডেকেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এতে বাজার কমিটি থেকে শুরু করে উৎপাদক পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে তারা গণসচেতনতায় দোকানে দোকানে লিফলেট বিতরণ ও পণ্যের দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ বছর রমজান উপলক্ষে ভোক্তাদের জন্য স্লোগান ঠিক করেছেন তারা। স্লোগানটি হলো-'পণ্য কিনি প্রয়োজনে, মূল্য রাখি নিয়ন্ত্রণে'।

বাজার পর্যবেক্ষণ শেষে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ব্রয়লার মুরগির ব্যবসায়ীদের আমরা ডেকেছি। তারা আমাদের মুচলেকা দিয়েছেন। কিন্তু দামের কোনো নিয়ন্ত্রণ এখনো দেখছি না। উৎপাদন খরচের সঙ্গে পাইকারি ও খুচরা বাজারের কোনো মিল নেই। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের পর্যবেক্ষণে এসেছে-ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এর প্রতিকারে সরকারকে আটটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। যারা এর দায়িত্বে আছেন, আশা করছি তারা ভোক্তার কষ্ট কমাতে যথাযথ উদ্যোগ নেবেন। ব্রয়লার মুরগি নিয়ে আমাদের সমস্যা। আর কোথাও সমস্যা নেই। আগামীকাল থেকে যদি ব্রয়লার মুরগি সঠিক দামে না আসে, ওদের (খুচরা ব্যবসায়ী) বিরুদ্ধে মামলা হবে, মিল মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, যারা ব্রয়লার তৈরি করেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

ব্যবসায়ী এবং সরকার কেউ কারও প্রতিপক্ষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, রমজান এলে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সেসব কারণ আমরা চিহ্নিত করেছি। কতিপয় ব্যবসায়ী রমজানকে উসিলা করে দাম বৃদ্ধির কারসাজি করে। সেটা যাতে এবার করতে না পারে, সেজন্য দোকান মালিক সমিতি ও এফবিসিসিআইকে নিয়ে যৌথভাবে কাজ করছি।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে সব জেলা-উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তার মহাপরিচালক।

বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোক্তাদের বলতে চাই, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো দরকার নেই। সব পণ্য আছে, কোনো ঘাটতি নেই। দুই-একটি পণ্যের দাম কমেছেও।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: