শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নারীরা অধিকারে অনেক দূর এগোলেও সামাজিক কিছু রক্ষণশীলতা আছে। সর্বোচ্চ পদে থাকলেও নিরাপদ নয়। অগ্রগতিতে নারীদের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আজ শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগরের একটি হোটেলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জাতীয় পরিষদ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 'অন্তর্ভুক্তিমূলক সংগঠন গড়ি, নতুন সমাজ বিনির্মাণ করি' স্লোগানে সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় নারীর ইজ্জত সম্ভ্রমহানির মতো সামাজিক ধারণা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। এর আচরণগত দায় পুরুষের। ভাষা দিয়ে নারীকে দমিয়ে রাখার প্রবণতা দূর করতে হবে। একই সঙ্গে নারী-পুরুষের সাম্য প্রতিষ্ঠা ও নারীর অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করতে হলে পুরুষকে এই আন্দোলনে যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা এগিয়েছি অনেক অনেক দূর, কিন্তু যেতে হবে আরও বহুদূর। নারীর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হলে অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীবান্ধব রাজনীতি ও নারী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সুইডেন অ্যাম্বাসাডর আলেকক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ড বলেন, বাংলাদেশ নানা অগ্রগতির পরও নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। এসডিজি রিপোর্ট অনুসারে নারীদের কাজ হারানোর হার বাড়ছে, বিনাপারিশ্রমিকে কাজের বোঝা বাড়ছে। এ জন্য বঞ্চিত নারীদের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনার জন্য মহিলা পরিষদের জোরালো ভূমিকা রয়েছে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে র্যালি হয়। এরপর জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সুরাইয়া বেগম ও তার দল। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। সভায় মোট কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন ৫০০ জন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: