শোক দিবসে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে আলোচনা সভা

ডেমরা প্রতিনিধি | ২৭ আগষ্ট ২০২২, ০৪:৫৮

সংগৃহীত

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

গত ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার, দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এর উদ্যোগে কলেজের মিজানুর রহমান খান সেমিনার হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে কলেজে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো: সামসুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইফ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি ও প্রধান বক্তা হিসেবে ঢাকা ০৬ আসনের সাংসদ, হাসপাতাল কলেজ ব্যাবস্থাপনা বোর্ডের সভাপতি এড. কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগ. জেন. (অব) ইফফাত আরা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য হেদায়তুল ইসলাম স্বপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য ডা. মাকসুদুর রহমান সহ অন্যন্য চিকিৎসকবৃন্দ।আরও উপস্থিত ছিলেন কলেজের বিভিন্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূর-ই-আলম চৌধুরী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের এতো উন্নয়ন মূলক কাজ কাজ ম্লান করে দেওয়ার জন্য বিএনপি বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট, কুশলীবদের বিস্তারিত কারন নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে কমিশন গঠনের উপর গুরুত্বারোপ করেন পাশাপাশি কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর নিরবতা ও প্রতিরোধের ডাক না আসার ব্যার্থতার কারন তুলে ধরার কথা বলেন।

এছাড়াও তিনি হাসপাতাল ও কলেজে উপযুক্ত যোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা ব্যাবস্থাপনা বোর্ড গঠনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে বোর্ড সভাপতি কাজী ফিরোজ রশীদের প্রশংসা করেন।

প্রধান বক্তা কাজী ফিরোজ রশীদ ১৯৭১ সাল পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর দেশ ও জাতি গঠনে অবদান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘটে যাওয়া নির্মম ঘটনার স্মৃতিচারন করেন। তিনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জাতির পিতা উপাধি সার্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন না তিনি সারা বাঙ্গালীর নেতৃত্ব দিয়েছেন তাই তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা।

তিনি তার বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসা করে বলেন, করোনার মহামারির জন্য ভ্যাক্সিন দিতে সারা পৃথিবী যখন টানাপোড়ায় সেখানে শেখ হাসিনা সম্পূর্ন বিনামূল্যে সারা দেশের মানুষের জন্য করোনার ভ্যাক্সিন নিশ্তিত করেছেন।

তিনি হাসপাতাল ও কলেজের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা বলেন পাশাপাশি কলেজের সামনে অবস্থিত আজাদ সিনেমা হলের জায়গাটা যেন হাসপাতাল কলেজের জন্য ব্যাবহার করা যায় সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এছাড়াও হাসপাতাল ও কলেজের উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে সব ধরনের সহযোগীতার আশা ব্যাক্ত করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: