অনিয়মের বক্তব্য নিতে গিয়ে ঢামেকে হেনস্তার শিকার সাংবাদিক

মমিনুল হক রাকিব | ২ আগষ্ট ২০২২, ২২:৩২

সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) এক চিকিৎসকের অনিয়ম প্রসঙ্গে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের অসদাচরণ ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা পোস্ট এর নিজস্ব প্রতিবেদক তানভীরুল ইসলাম।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢামেক পরিচালকের কক্ষে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখার পাশাপাশি সাংবাদিক তানভীরুলের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন ঢামেক পরিচালক মো. নাজমুল হক।

হেনস্তার শিকার সাংবাদিক তানভীরুল বলেন, হাসপাতালটির এক চিকিৎসকের অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের বক্তব্য নিতে যাই আমি। তবে ব্যস্ততা দেখিয়ে পর দিন (১ আগস্ট) দুপুর ২টায় হাসপাতালে দেখা করতে বলেন তিনি। সে অনুযায়ী আমি সোমবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালে পরিচালকের রুমে গিয়ে কথাবার্তা শুরু করি। এক পর্যায়ে ঢামেকের একজন চিকিৎসকের অনিয়মের ভিডিওসহ ঢামেক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অনিয়ম নিয়ে কথা বললে পরিচালক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি ক্ষেপে যান এবং ভিডিও বন্ধ করতে বলেন। এরপর তিনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার মোবাইল কেড়ে নেন। এ সময় তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমি সাক্ষাৎকার বন্ধ করে চলে আসতে চাইলে তিনি আমাকে তার কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং অফিসে কর্মরত অন্যদের ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধিকে হাসপাতালে আসতে বলার নির্দেশ দেন। এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধি না আসবে ততক্ষণ আমাকে বসে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন পরিচালক।

তানভীরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি পেশাগত কাজে তার থেকে শিডিউল ও অনুমতি নিয়েই ভিডিও করেছি। কিন্তু তিনি আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভিডিওসহ নিউজের বিভিন্ন ডকুমেন্টস ডিলিট করে দেন। পরিচালক আমার সাথে যে আচরণ করেছেন সেটি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত এবং পরিচালক পদের অপব্যবহার।’

এ বিষয়ে ঢামেক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তিনি (তানভীরুল ইসলাম) আমার কাছে এসেছিলেন। তাকে আমি কিছু তথ্য আমি দিতে পেরেছি। তিনি একজন চিকিৎসকের ব্যক্তিগত তথ্য চেয়েছেন যা আমার জানা ছিল না। তবে তিনি এই তথ্যের জন্য পীড়াপীড়ি করছিলেন। এটা নিয়েই কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: