বইমেলায় অধ্যাপক মীজানের 'পঞ্চাশের রিকনসিলেশন' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন

শিবলী নোমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় | ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:৪৮

ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান রচিত '‌পঞ্চাশের রিকনসিলেশন ও অন্যান্য প্রবন্ধ' শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

অমর একুশে বইমেলায় টিএসসি গেট সংলগ্ন সোহরাওয়াদী উদ্যানে মেরিট ফেয়ার প্রকাশনে (স্টল # ৪৯৭-৪৯৯) সোমবার বিকাল ৪টায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি এম শহীদুল ইসলাম , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সহকারী প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভিন্ন বিভাগের দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ড. মীজানুর রহমান রচিত ১৯৯২ সালে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণ’ পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে। পরবর্তীতে তিনি ‘বাজারজাতকরণ’, ‘বাজাজাতকরণ নীতিমালা’, ‘স্নাতক বাজারজাতকরণ’ শীর্ষক আরো তিনটি গ্রন্থ রচনা করেন এবং পাঠকপ্রিয়তার কারণে বাজারজাতকরণ গ্রন্থের একটি সহজ সংস্করণও তিনি তৈরি করেন, যা মার্কেটিং বিভাগের বাইরের পাঠকদের নিকটও অত্যন্ত সমাদৃত।

২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ’ গ্রন্থটি পাঠকমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে তাঁর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়ন ভাবনা’ ও ২০১৯ সালে ‘উত্তরগণতন্ত্র ও লিংকনের পিপল’ নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালে তাঁহার ‘বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও সাম্প্রতি বাংলাদেশ’ ও ‘সংকটে মার্কেটিং’ দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ২০২১ সালে তাঁর ‘Bangabandhu Bangalees and Relevant Thoughts’ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

শিক্ষকতার পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গণেও তিনি বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তিনি দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কোষাধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামাে ও একাডেমিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। ২০১৩ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে শেখ বােরহানুদ্দীন কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, আইসিএমএ-বাংলাদেশের কাউন্সিল মেম্বার, ম্যাকসন্স স্পিনিং ও আরএসআরএম লি.-এর পরিচালক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের ফাইন্যান্স কমিটির সদস্য, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।

অধ্যাপক মীজান বর্তমানে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য। আইসিবি’র সাবসিডিয়ারি এএমসিএল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও মেট্রো স্পিনিং লি.-এর ইনডিপেন্ডেন্ট পরিচালক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের এলামনাই অ্যাসােসিয়েশন, মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট।

ড. মীজান ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, নরওয়ে, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, চীন ও কানাডায় বিভিন্ন সেমিনার-কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়ক বিভিন্ন বক্তৃতা প্রদান করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য, তিনি দুই মেয়াদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: