মহেশখালীতে কিশোরী ধর্ষণ মামলার দুই আসামী গ্রেপ্তার

মিছবাহ উদ্দীন আরজু | ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১১:৫৩

ছবিঃ সংগৃহীত

মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত প্রেমিকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ।

জানা যায়, ২৭ অক্টোবর (বুধবার) রাতে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল, এ এস আই জসিম সহ থানা পুলিশের ১টি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়নের অফিসপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কালামারছড়া ইউনিয়নের অফিস পাড়া গ্রামের মোঃ রফিকের পুত্র মোঃ আলমগীর (২২) ও মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র মোঃ আনোয়ার (২৬)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনার হত-দরিদ্র পরিবারের এক কিশোরীর (১৫) সঙ্গে পাশ্ববর্তী অফিসপাড়ার মোঃ আলমগীরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্কের সুবাদে ভ্রমণের কথা বলে কথিত প্রেমিক আলমগীর ওই কিশোরীকে গত ১১ অক্টোবর চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর বাজারে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তারা রাতযাপন করেন এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। সেই সময়ে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের দৃশ্য কিশোরীর অজান্তে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন আলমগীর। ঘটনার কয়েকদিন পর সেদিনের ভিডিও চিত্রটি আলমগীরের কথিত বন্ধু মোঃ আনোয়ারকে দেখায়। পরে সেই ভিডিওটি আনোয়ারও সংরক্ষণ করে রাখে। পরে ওই কিশোরীকে ভিডিও চিত্রের ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয় এবং প্রস্তাবে রাজি না হলে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন।

এক পর্যায়ে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি রাজি হয়ে যান এবং বিভিন্ন সময় কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গ্রেপ্তার দু’জনের মানসিক ও শারীরিক চাপ সইতে না পেরে একপর্যায়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুরো ঘটনা তার মাকে খুলে বলেন। সর্বশেষ গত ২৬ অক্টোবর মহেশখালী থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী ও ২০১২ সালের পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে কথিত প্রেমিক আলমগীর ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল হাই গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খুব গুরুতর অপরাধ। গ্রেপ্তারকৃতদে কে বিজ্ঞ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সামাজিক অপরাধ দমনে মহেশখালী থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: