লক্ষ্মীপুরের পাঁচ উপজেলায় গত-এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বর্তমান কাঁচা মরিচের দাম হয়েছে দু'শ টাকা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। মঙ্গলবার সন্ধায় (অক্টোবর) রায়পুর ও সদর পৌরসভার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম থেকে আমদানি কম হলে কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে।
কাঁচা মরিচের পাশাপাশি সবজিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামও বেশি। বিভিন্ন উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বাজারে পর্যাপ্ত সবজি না থাকার কারণে আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা। সবজি বাজারে আগে থেকেই শাক-সবজির দাম ছিল চড়া।
লক্ষ্মীপুর রায়পুর পৌরসভার সবজির আড়ত ব্যবসায়ী ও কাউন্সিলর ইউসুফ আলী বলেন, মোকামে সংকটের কারণে সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। আস্তে আস্তে সব পন্যের দাম কমে যাবে।।তাছাড়া গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারনে চরাঞ্চলের কৃষি জমি থেকে মরিচ তুলতে পারেনি কৃষক।
রায়পুরে মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধা সাড়ে ৭টার সময় প্রধান সড়কের ভ্রাম্যমান কাঁচামরিচ বিক্রেতা স্বপন ও মান্নান বলেন, সবজির আড়তেই ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছেন । আমরা বিক্রি করছি ১৬০ টাকা। ওখানে তো কোন ব্যাক্তি প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।
ক্রেতা খালেদ হোসেন ও ফারুক হোসেন বলেন, মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেন। লকডাউনের শুরু থেকেই সবজির দাম আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও বন্ধ দেখা গেছে কাঁচাবাজারের অধিকাংশ দোকান। সদরে কাচাঁবাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, কাকরোল আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, কচুর ছড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬৫ টাকায়, পটল ৪৫ টাকায়, পেঁপে ৫০ টাকায়, দেশি শসা ৭০ ও হাইব্রিড শসা ৭৫ টাকায়।
রায়পুর উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ রায়হানুল হায়দার জানান, উপজেলায় ৩৫টি হাটবাজার রয়েছে। শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: