ট্রলারডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি, নিহতের পরিবার পাবেন ২০ হাজার টাকা

সময় ট্রিবিউন | ২৮ আগষ্ট ২০২১, ০৬:৫১

শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার লইছকা বিলে বালুবাহী একটি স্টিলের নৌকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়-ছবি সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় লইছকা বিলে ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া নিহত প্রত্যেক পরিবারকে মরদেহ দাফনের জন্য ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে বলে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ–দৌলা খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে নৌ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে প্রধান করা করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকার ঘাট থেকে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উদ্দেশে রওনা করে। তিতাস নদের বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইছকা বিলে বালুবাহী একটি স্টিলের নৌকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সে সময় যাত্রীবাহী নৌকাটির পেছনে আরেকটি বালুবাহী নৌকা ছিল। এটিও যাত্রীবাহী নৌকাটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়। নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন।

আহত যাত্রীরা জানান, প্রথমে ধাক্কা দেওয়া নৌকাটি দ্রুত পালিয়ে যায়। রাত পৌনে আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন দুটি শিশু, একজন তরুণ, আটজন নারীসহ ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করেন। পরে সদর থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত যাঁদের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার আজমপুরের শিলবাড়ির পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস, জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম ও চম্পকনগরের মিনারা বেগম।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: