ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার লইছকা বিলে বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে যাত্রীবোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চলছে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার লইছকা বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর নৌকার ঘাট থেকে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উদ্দেশে রওনা করে। তিতাস নদের বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইছকা বিলে বালুবাহী একটি স্টিলের নৌকার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সে সময় যাত্রীবাহী নৌকাটির পেছনে আরেকটি বালুবাহী নৌকা ছিল। এটিও যাত্রীবাহী নৌকাটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে ডুবে যায়। নৌকাটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
আহত যাত্রীরা জানান, প্রথমে ধাক্কা দেওয়া নৌকাটি দ্রুত পালিয়ে যায়। রাত পৌনে আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন দুটি শিশু, একজন তরুণ, আটজন নারীসহ ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করেন। পরে সদর থানার পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত যাঁদের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন বিজয়নগর উপজেলার আজমপুরের শিলবাড়ির পরিমল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনা বিশ্বাস, জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম ও চম্পকনগরের মিনারা বেগম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: