১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় বক্তৃতাকালে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে নিহত হন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের তৎকালীন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরেফ আহমেদ, কাজী আরেফ আহমেদসহ দলটির পাঁচ নেতাকর্মী হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রওশন আলী ওরফে উদয় মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বহুল আলোচিত জাতীয় দলের (জাসদ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কাজী আরেফ হত্যাসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রওশন ওরফে আলী ওরফে উদয় মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান।
তিনি জানিয়েছে, এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে মিডিয়া বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের তৎকালীন সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের মন্ডল। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর, ২০০৪ সালের ৩০ অগাস্ট ১০ জনের ফাঁসি এবং ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন কুষ্টিয়া জেলা জজ। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০০৮ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট নয়জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন, একজনকে খালাস দেন ও ১২ জনের সাজা মওকুফ করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেই আদেশ দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। পরে তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে।এরপর ২০১৬ সালে ৮ জানুয়ারি তিন খুনির ফাঁসি কার্যকর হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নয়জনের মধ্যে বর্তমানে চারজন পলাতক রয়েছেন, আর একজন কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: