শেরপুর জেলা সদরে সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরামকে (২৬) হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলায় রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী সোমবার (৯ ডিসেম্বর)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম খান।
গ্রেফতাররা হলেন চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. ময়না মিয়া (৩৫), একই গ্রামের মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বাসেদ মিয়া (২২), মৃত কালু খানের ছেলে মো. আলম খান (৫৫), জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী মোছা. কমলা আক্তার (৩৫), পার্শ্ববর্তী চরশেরপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আনসার আলীর স্ত্রী মোছা. হালিমা খাতুন (৫৫), একই গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে মো. আজিম আলী (৩৬) ও নয়াপাড়া গ্রামের মো. সাহেব আলীর ছেলে মো. শামীম আহম্মেদ (২৮)।
এর আগে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের ভাই মো. জসিম মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ওয়াসিম আকরামের চাচাতো ভাই রঞ্জুকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনসহ মোট ৩৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত ওয়াসিম আকরাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ বীর, সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মো. ময়না মিয়া ও মো. বাসেদ মিয়াকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালতের বিচারক ইকবাল মাহমুদ আগামী ৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল হাসানের ছেলে সেনাসদস্য ওয়াসিম আকরাম ধান কেটে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: