নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন উপজেলা উপহার দিতে আবারো নির্বাচনে আবু আসিফ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | ৩ মে ২০২৪, ১৯:৩০

ছবিঃ সংগৃহীত
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসা আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ আবারো ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

২ মে (বৃহস্পতিবার) আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করতে তিনি অনলাইনে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন। এর আগে তিনি নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের প্রার্থীতার কথা প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবু আসিফ আহমেদ বলেন, আমি বিগত ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। এই সময়ে আমি ন্যায়, নীতি, সততা, আদর্শ ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। উপজেলা পরিষদের সব কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছি।

একইভাবে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উপস্থিত থেকে ভূমিকা রেখেছি। আমার দায়িত্ব পালনকালে উন্নয়ন কর্মকান্ডের পাশাপাশি উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রেখেছি। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমি আর অংশ নেইনি।

বিগত পাঁচ বছরে উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে নেমেছে। দায়িত্বশীল ব্যক্তির স্বজনরা বাস স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে, বন্দরে অবৈধ টার্মিনাল গড়ে তোলে চাঁদাবাজির মহোৎসব গড়ে তোলে। বন্দর এলাকাসহ উপজেলা জুড়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা বিস্তার লাভ করে। মাদকের করাল গ্রাসে তরুণ ও যুব সমাজে সর্বগ্রাসী অবক্ষয় নেমে আসে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকার সুশীল শ্রেণীসহ সর্বস্তরের জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে আমি আবারো চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি।

এবারও আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ উপজেলার সর্বদলীয় জোট আমাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। বিগত সময়ের মত আবারো উপজেলার জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। বিজয়ী হলে আমি মাদক ও দুর্নীতি নির্মূলসহ উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পূনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হব ইনশাআল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সর্বদলীয় জোট নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান কবির, চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও  ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব খান, চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও  উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জিয়াউদ্দিন খন্দকার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সেলিম পারভেজ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ, উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শেখ দাউদ অপি ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ হানিফ সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বিগত ২০২৩ সালে বিএনপির সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তারের পদত্যাগের কারণে শূণ্য আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ। নির্বাচন চলাকালে অদৃশ্য চাপে হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়ে পড়লে বিষয়টি দেশব্যাপি ব্যাপক আলোচিত হয়।

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: