মোংলায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমছে। বইছে হিমেল বাতাস। এতেই নামছে কনকনে শীত। দিনে দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতের কারণে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে না মানুষ। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু এ উপজেলার মানুষ।
কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে মোংলার মানুষ। সূর্যটাও যেন দেরি করে উঠছে। আলোতে যেন কোনো তেজ নেই। এতে মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাতের তীব্র শীত মানুষের জন্য চরম অসস্তি-ভোগান্তি নিয়ে আসে। কেননা, এর আগে এ বছর এত মাত্রার শীত পড়েনি এ অঞ্চলে। এই শীতে অনেকটাই বিপর্যস্ত জনজীবন, বেশি ভুগছে বয়স্ক ও শিশুরা। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ায় দিন-মজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে দেরিতে সূর্য উদিত হলেও কমছে না শীতের প্রকোপ।
শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। কনকনে শীতে জবুথবু এ জনপদ। বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা নামছে। এতে ঘরের বাইরে খেটেখাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপের কারণে সন্ধ্যা গড়ালেই ঘরমুখো হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সড়কে কমে আসছে যান চলাচল। কনকনে শীতে বিশেষভাবে বিপাকে পড়ছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষের জীবন। পথে-প্রান্তরে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষদের কষ্ট বেড়েছে।
খড়খুটো পুড়িয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা। নিম্ম ও মধ্যবিত্তরা ভিড় করছেন ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে রিকশা-ভ্যান চালক ও শ্রমিকরা। হাড়কাপানো শীত উপেক্ষা করে পেটের তাগিদে রাস্তায় নেমেছেন তারা। তবে প্রচণ্ড শীতে লোকজন বাইরে বের না হওয়ায় ভাড়াও পাচ্ছে না। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষও কাবু হয়ে পড়েছে। হিমেল হাওয়ায় হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু এ উপজেলার মানুষ।
পৌর মোর্শেদ সড়ক এলাকার নির্মাণ শ্রমিক রাসেল বলেন, এই কনকনে শীতের মধ্যে কাজে আসতে হচ্ছে। সকালে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। তারপরও জীবিকার তাগিদে না করে উপায় নেই।
পৌর শহরে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা নজরুল বলেন, এই ঠাণ্ডার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা ভ্যান চালাতে খুবই কষ্ট হয়। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ভোরে উঠেই ভ্যান নিয়ে নামতে হয়। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার মধ্যেই কর্মস্থলে ছুটছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
এদিকে তীব্র ঠাণ্ডায় আবহাওয়া জনিত নানান অসুখ দেখা দিয়েছে। শীতের তীব্রতার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের ঘরে ঘরে সর্দি, জ্বর ও নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত নানান রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এসব রোগে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) হারুন অর রশিদ বলেন, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মোংলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়া এবং মোটা পোশাক পরিধান, গরম খাবার খাওয়া ও পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: