শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীকে মিথ্যা ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করে আবুবক্কর সিদ্দিক ওরফে সোহাগ নামের এক ব্যক্তিকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সোহাগ উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কাপাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা সামেদুল হক ও তার সহযোগীরা সোহাগের পরিবারের লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিসহ নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। গত ১৫ ডিসেম্বর সকালে সামেদুল তার সহযোগী সোলেমান, জাহানারা, সায়েদুল, আল আমিন, সোহান ও মামুন মিয়াকে সাথে নিয়ে সোহাগের বাড়িতে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করতে বলে। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকীও দেয় তারা বলে জানান ভুক্তভোগী সোহাগ। এদিকে হুমকী দিয়ে চলে গেলে সোহাগ চা পান করতে পাশ^বর্তী পল্টনের দোকানে যান। কিছু বুঝে উঠার আগেই সোহান এবং মামুন নামক দুই ব্যক্তি সোহাগকে পিছন থেকে অর্তকিত হামলা করে আহত করে। আহত সোহাগকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সোহাগের স্ত্রী শিল্পী বেগম।
এসব ঝগড়া বিবাদের জের ধরে সোহাগকে ঘায়েল করতে সম্প্রতি সোলেমানের স্ত্রী জাহানারা বেগম সোহাগের বিরুদ্ধে শেরপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করে। ধর্ষণ চেষ্টা মামলাটি মিথ্যা এবং সাজানো বলে দাবি করেন সোহাগ।
ওই মামলার স্বাক্ষী অটোচালক রিপন মিয়া, খাজা মিয়া ও কালু মিয়া জানান, জাহানারা বেগম তার প্রতিবেশী সোহাগের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে আমরা এর কিছুই জানি না। অথচ আমাদেরকে সাক্ষী দাবি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে জাহানারা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জাহানারা বেগমের মুঠোফোনে বার বার কল দিলেও ওই ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: