বগুড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:১৪

বগুড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, জড়িত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ

পূর্ব শত্রুতার জেরে বগুড়ায় সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ মণ্ডল হত্যাকাণ্ডের শিকার। হত্যাকান্ডের মূলহোতা সহ জড়ীত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ মঙ্গলবার রাতে ঢাকার কাকরাইল মসজিদ-এ অভিযান চালিয়ে তাদের ৩ জনকে গ্রেফতার পূর্বক বগুড়াতে আনা হয়।

গ্রেফতারকৃত ৩ জন হলেন: বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পূর্ব খাঁপাড়া এলাকার মিলু শেখের ছেলে সাকিব শেখ ও সানমুন শেখ ওরফে সালমন এবং একই এলাকার হাতেম আলীর ছেলে হিমেল শেখ। এদের মধ্যে সাকিবের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা রয়েছে। বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান৷

উল্লেখ্য, গত ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০ টারদিকে বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া এলাকায় বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, আরিফের ভাগ্নে মুহিমের সাথে কথা-কাটাকাটির জের ধরে গত ৭ অক্টোবর সাকিবকে চাকু মেরে গুরুতর আহত করে আরিফ। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা মিলু বাদী হয়ে আরিফকে প্রধান আসামী করে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আরিফকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান ১৮ দিন থাকার পর আরিফ জামিনে বের হলে সাকিব ও তার সঙ্গীরা মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়ার আরজু ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে হাসুয়া, এস এস পাইপ ও লোহার রড নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় আরিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তার পথরোধ করে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা। পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা প্রথমে জয়পুরহাট জেলার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। এমনকি তারা হিলি বর্ডার দিয়ে দেশের বাইরে যাওয়ারও চেষ্টাও করেন। কিন্তু কোন উপায় না পেয়ে তারা পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে অবস্থান নেয়। তাদের পরিকল্পনা ছিলো মসজিদে পূর্ব থেকে অবস্থানরত তাবলীগ জামাতের মুসল্লি সেঁজে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে আত্মগোপন করবে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বগুড়া সদর থানার টিম, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা বিভাগের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করা হয় বলেও জানানো হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, আজ গ্রেফতারকৃত ৩ জন আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত বাকি পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানানো হয়। এসময় প্রেস ব্রিফিংয়ে (পদোন্নতিপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ, সদর থানার ওসি (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: