পাবনার সাঁথিয়ায় আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে গেছে কৃষকের বসতঘর। আগুনে পুড়ে তার প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।বর্তমানে পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দয়রামপুর গ্রামের কৃষক ফয়জাল প্রামানিকের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ঘটনারদিন ফয়জাল প্রামানিকের স্ত্রী ফজিলা খাতুন রাতে রান্না শেষে বাড়ির সবাইকে খাবার খাইয়ে শুয়ে পড়েন। হঠাৎ রান্না ঘর থেকে দাউদাউ করে আগুন জ¦লে ওঠে। মুহুর্তে আগুনের লেলিহানশিখা রান্না ঘর থেকে বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে প্রাণপণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। ততক্ষনে দুটি বসতঘর ও ঘরে রক্ষিত ধান,গম,নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,আসবাবপত্রসহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
মালিক ফয়জাল প্রামানিক জানান,আমি গরীব মানুষ নিজের জায়গা জমি নেই। পরের জমি লিজ নিয়ে কৃষি আবাদ করি এবং পাশাপাশি হলুদ মরিচ ভাঙ্গিয়ে ব্যবসা করি।কিন্ত আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেলো। আগুনে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
ফয়জাল প্রামানিকের ছেলে ফরিদ আহমেদ আকাশ বলেন,আমরা অনেক কষ্ট করে ঘর দুটি দিয়েছিলাম। আমার পড়নের শুধু কাপড়টাই আছে।আর কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারি নাই।আমার শিক্ষাজীবনের সব সার্টিফিকেট ও বাড়ির জমির দলিল পত্রসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর মেরামত না করা পর্যন্ত আমাদের খোলা আকাশের নীচেই বসবাস করতে হবে ।
সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উকিল বলেন,আকাশের বাড়িতে আগুন লেগে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।আমি ওর বাড়িতে গিয়েছিলাম দেখে এসেছি। আল্লাহ ওদের ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুক ।
সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাসুদেব সরকার জানান,আমরা আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত টনাস্থলে যাই। অসাবধানতাবশত রান্না ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাসুদেব সরকার জানান,আমরা আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত টনাস্থলে যাই। অসাবধানতাবশত রান্না ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: