নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতি আতংকে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকেরা

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি | ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:২৯

নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতি আতংকে আধা পাকা ধান কাটছেন কৃষকেরা

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পানিহাটা ও ফেকামারী গ্রামের অর্ধশতাধিক কৃষক বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন। বন্যহাতির আক্রমন থেকে ফসল রক্ষায় আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষকেরা।


এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে পানিহাটা ও ফেকামারী গ্রামের ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা ১০০-১৫০ একর জমিতে অর্ধশতাধিক কৃষক আমন ধান আবাদ করেছেন। ওই এলাকায় ধান পাকতে আরও এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। কিন্তু ওই ফসলি জমির পূর্ব দিকে পাহাড়ি জঙ্গলে কয়েকদিন ধরে ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতির দল অবস্থান করছে।

সুযোগ পেলেই খাদ্যের সন্ধানে ধানখেতে নেমে আসে বন্যহাতির দল তখন এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে বন্যহাতির দলকে তাড়িয়ে দেন। গত কয়েকদিনে কয়েকজন কৃষকের ধান খেত খেয়ে ও মাড়িয়ে নষ্ট করেছে বন্যহাতির পাল। এলাকাবাসীর আশংকা যে কোন সময় হাতির পাল আবার আমনের খেতে হানা দিতে পারে। তাই বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় আধাপাকা ধান কাটতে বাধ্য হচ্ছেন ওই এলাকার কৃষকেরা।

পানিহাটা গ্রামের কৃষাণী মনিকা সাংমা বলেন, ২৫ কাঠা জমি বর্গা নিয়ে ধান লাগাইছি। আত্তির লাইগা এই কাচা ধানই কাটতাছি। অহনা না কাটলে আত্তি সব ধান খাইয়া শেষ করলে পরে কিছুই পামু না।

ওই এলাকার কৃষক কাজিমদ্দিন বলেন, গত বছর আত্তি আমার দেড় একর জমির সব ধান খাইয়া শেষ করে গেছে। আমি এ বছরও দেড় একর জমিতে ধান লাগাইছি। ধান পাকতে ও কাটতে আরও এক-দুই সপ্তাহ সময় দরকার আছিল। কিন্ত আত্তির লাইগা ধান আর পাকাইতে পারলাম না। তাই আধা পাকা ধান কাটতাছি।

বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা সাব্বির জাহাঙ্গীর বিন ওয়ালি বলেন, খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতির দল সমতলে চলে আসে। সমতলে হাতি প্রতিরোধে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: