উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’তে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে প্রায় সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ থমথমে আবহাওয়া বিরাজ করছে। লাগাতার টিপটিপ বৃষ্টিতে রাজধানীর জনজীবনে কিছুটা দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সময়ের সাথে সাথে এর পরিমাণও বেড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে পিরোজপুর, বাগেরহাট, ভোলা, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ উপকূলীয় জেলার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
এসব জেলার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মেডিকেল টিম। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ, টিন, চাল এবং কম্বল রয়েছে।
অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে সিপিপি সদস্য ও স্কাউট সদস্য কাজ করবেন। উপকূল এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার সকালে আবহাওয়ার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিলোমিটার, যা ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুন্দ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: