গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে দোল খাচ্ছে রোপা আমন ধানের শীষ। এ যেন কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। শরতের দিনে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন ধানের শীষ। মনোরম দৃশ্যটি দেখে আনন্দিত কৃষকরা। অনাবৃষ্টি, পোকার আক্রমণ আর নানা রোগবালাইয়ের পরও এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
মাঠে মাঠে আনন্দে মাতুয়ারা সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি শীষে যেন কৃষকের জীবনের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সাঘাটা উপজেলার কৃষকেরা। কৃষাণ-কৃষাণীদের মনে বইছে আনন্দের বন্যা। কদিন পরেই ঘরে আসতে শুরু করবে তাদের সোনালী স্বপ্ন ধান।
দিগন্তজুড়া সোনালী ফসলের মনোরম দৃশ্য এখন গোটা উপজেলা জুড়ে। কোনো এলাকায় দু’একজন চাষী ধান কাটলেও আগামী কয়েক সপ্তাহ পরে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। প্রচন্ড তাপদাহে খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম।
এরপর সেই জমিতে মৌসুমি শীতের ফসল চাষ করবে কৃষকরা।
এব্যাপারে স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবছর আমন ধান চাষ করতে কষ্ট হয়েছে। শুরুর দিকে বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে ধান লাগানো হয়েছে। ধান ভালোই হয়েছে বাজারে দাম পেলে লাভবান হবো।
আরেক কৃষক জানান, ধান শীষ হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে ধান ভালোই দেখা যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যেন ধান ভালোই হয়। আল্লাহ যেন কোনো রোগবালাই, দূর্যোগ না দেয়। ধানের দাম ও শ্রমিকের দাম ন্যায্য থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়। তাহলে পরিবারের চাহিদা ও ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ বহন করতে পারবো।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: