ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিভুক্ত সনাতন ধর্মাবলম্বী এক সংখ্যালঘু নারীকে (৩০) কু-প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে নিজের ভাইকে লেলিয়ে দিয়ে মারধর ও শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে।
গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বনকুড়া এলাকায় ওই নারীর বাড়িতে ঢুকে মারধর ও শ্লীলতাহানীর এ ঘটনায় ওই নারী ও তার পরিবারকে প্রতিনিয়ত হুমকী দিয়ে চলেছে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম কমলসহ সঙ্গীয়রা। কু-প্রস্তাবকারী রফিকুল ইসলাম উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। আমিনুল ইসলাম কমল তারই ছোট ভাই।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমনসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই সংখ্যালঘু নারী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গেল বছর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জন্য সরকারের বরাদ্দ থেকে ভুক্তভোগী নারী শ্রীমতি রূপসী রানীকে একটি সেমিপাকা ঘর করে দেওয়া হয় বনকুড়া ভেদামারী এলাকায়। ঘর নির্মাণকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর হস্তক্ষেপে ইউপি সদস্য পিছু হটেন। এর কিছুদিন পর ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে একা পেয়ে রূপসীকে কু-প্রস্তাব দেয়। এসময় ডাকাডাকি শুরু করলে ইউপি সদস্য পালিয়ে যান।
এদিকে গত ২৪ অক্টোবর বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনকালে রূপসীর বাড়িতে আমন্ত্রণে আসেন ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক হীরণ চন্দ্র বর্মন, রূপসীর স্বামী যে বাড়িতে কাজ করেন ওই বাড়ির মালিক মীর হোসেন ও হরকান্ত চন্দ্র বর্মন। আপ্যায়নকালে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম কমলসহ কয়েকজন যুবক অতর্কিতে রূপসীর বাড়িতে ঢুকে মারধর ও টানাহেচড়া করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী রূপসী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ফলে বেপরোয়া হয়ে ওঠে কমলসহ তার সঙ্গীয়রা। রোববার বিকেলে কমল ও তার সঙ্গীয়রা মিলে পুনরায় রূপসীর বাড়ির সামনে দাড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ হুমকী দিয়ে আসে। রাতেই এ বিষয়ে থানার শরণাপন্ন হয় ভুক্তভোগী পরিবারটি। একপর্যায়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদকর্মীদের সহায়তা চান ভুক্তভোগী রূপসী ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে মতামত জানতে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী জানান, এক ভাই রফিকুল ইসলাম ইউপি সদস্য ও আরেক ভাই শফিকুল ইসলাম শফিক ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় কমলসহ তিন ভাই মিলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: