কালবৈশাখী মোকাবিলায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে "তড়িৎ সাড়া দান" কার্যক্রম

ফরিদপুর প্রতিনিধি | ৩০ মে ২০২৩, ০০:৩৮

ছবিঃ সংগৃহীত

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তড়িৎ সাড়া দানের মাধ্যমে সাহায্য পৌঁছে দিচ্ছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন। সরকারি বিধির মধ্যে তালিকার মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হচ্ছে "তড়িৎ সাড়া দান" এই কার্যক্রম। সেবাগ্রহীতা নিজেরা সরাসরি এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করে নিতে পারছেন এই সেবা। কারো সুপারিশ বা কোন মধ্যস্থতার প্রয়োজন পড়ছে না।

আজ সরেজমিনে দেখা যায় কালবৈশাখীতে ভেঙ্গে যাওয়া ঘর মেরামতের জন্য দুজন সেবা গ্রহীতার হাতে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ তুলে দিচ্ছেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জনাব আবু নাসের মোহাম্মদ বাবর।

গত সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে সদর উপজেলার মোসলেম সেকের ঘর। মোসলেম প্রান্তিক পর্যায়ের একজন কৃষক। বার্ধক্য জনিত রোগে প্রায় ১০ বছর ধরে ভুগছেন। তার একমাত্র ছেলেটিও ভূমিহীন কৃষক। তার ঘরটি এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং নিউজ পোর্টালে বেশ আলোচনা হয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন জেলা প্রশাসক। তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মোসলেম সেকের পাশে দাঁড়ান।

এত দ্রুত সাহায্য পাওয়ায় খুশি সহায়সম্বলহীন মোসলেম সেক। তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে জানান "জীবন তো পরায় শ্যাষই। এত তাড়াতাড়ি সরকারি কুন সাহাইজ্য পাই নাই জীবনে। যে ব্যাটা(জেলা প্রশাসক) এমন কাজে আইসলেন, আল্লাহ পাক তারে বাচাই রাহুক।"

অন্য সেবা গ্রহিতা ফেলা সেক জানান "আমি এই শেখ হাসিনার সরকাররে ধইন্যবাদ জানাই। কুন লোকজন ধরা ছাড়াই আমরা আমাগের কতা ডিসি স্যাররে জানাতি পারছি। এইডা এই সরকারেরই অবদান"।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেকদিন ত্রানের জন্য তৎপর রয়েছে জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন অফিস। কোন কোন দিন সন্ধ্যা পেড়িয়ে গেলেও থাকছে কর্ম চাঞ্চল্য। যারা নিজেরা আসতে পারেন না, তাদের তথ্য যে-কেউ পৌঁছে দিলে সত্যতার ভিত্তিতে মিলছে সেবা। ফেলা সেক এবং মোসলেম সেকের অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিতায় স্বেচ্ছা শ্রমে সাহায্য করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ। সাধারণ মানুষের সাহায্যে তড়িৎ সাড়া দানের জন্য জেলা প্রশাসকের কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: