মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে পাটকাঠি বোঝাই ট্রলারে আগুন দেওয়ার ৩২ ঘন্টা (২৯.০৯.২০২২ ইং,বৃহঃবার সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত) পার হলেও এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়ার পরেও এখনো পুলিশ মামলা নিয়ে গড়িমসি নিচ্ছে করছে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রলারের মাঝি ও শ্রমিকরা।
তারা অভিযোগ করে বলেন, থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও এখনো মামলা নেয়নি পুলিশ। এমনকি তারা গতকাল (২৮.০৯.২০২২ ইং) রাতে দুইবার জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আজকে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে চাইলেও পুলিশ এখনো মামলা নেয়নি।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটা নৌকার মাঝি আক্কাস বলেন, "আমরা গতকাল রাতে মামলা করার জন্য থানায় গেলেও থানা থেকে মামলা নেয়নি। তবে আজ বিকেলে লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে তদন্তের পর মামলা নেওয়া হবে।"
আগুনে নষ্ট হয়ে যাওয়া পাঠকাঠির মালিকের ছেলে সামসুল হক বলেন, "গতকাল আমরা রাত ১২টা পর্যন্ত থানায় ছিলাম। আমরা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে। আমাদেরকে বলছে থানার কম্পিউটার নষ্ট। কালকে আসেন। আমি দুইবার ৯৯৯-এ ফোন দেওয়ার পরেও কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গেছে বলে থানা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমাদের বিভিন্ন কথাবার্তা বলে মামলা না নিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। আজকে সন্ধায় আমরা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করতে চাইলেও এসআই আমির হামজা দুইজন আসামীর নাম বাদ দিতে বলেছে।"
ট্রলারে থাকা আরেক শ্রমিক কালাম বলেন, "মামলা না নিয়ে গতকাল রাতে ওসি স্যার আমাদেরকে বলেছে, তোমাদের ট্রলারে তোমরাই আগুন দিয়েছো। তোমরা আগুন দিয়ে মিথ্যা কথা বলছো। তাহলে ওসি স্যার তো চাঁদাবাজদেরই পক্ষ নিলো। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।"
ট্রলারে থাকা পাটখড়ির মালিক ইউনুস বলেন, "এসআই আমির হামজা প্রথমে চারজনের এবং পরবর্তীতে দুইজনের নাম বাদ দিতে বলেছেন।"
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, "অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মামলা নেয়া হবে।"
অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করছেন এসআই আমির হামজা। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত চলছে। আমি এখন তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আছি। তবে, আসামীদের নাম বাদ দেয়ার কথাটি সঠিক নয়।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: