বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম ফাইনাল খেলা শেষে অতিথির ফুটবল টুর্নামেন্টের বক্তব্য দিতে গিয়ে উৎসুক জনতার ভিড়ে ট্রফি (কাপ) ভেঙেছেন। এমন একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদমের ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।
খেলার সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত জনগণের সামনে পরপর দুইটি ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে, ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি জানান আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর কোনো দলের গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। খেলায় চার টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দলের তিন গোল হয় এবং টাইব্রেকার রেপার পাড়া একাদশের এক গোল হয়। এতে আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্সআপ হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দেখা যায় সমাপনী বক্তব্যে ইউএনও উপস্থিত দর্শকদের বলেন, খেলায় হার জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই। তিনি দর্শকদের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি-না জানতে চান। এ সময় কয়েকজন খেলার ফলাফল মানি না বলাতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। টেবিলে থাকা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ ট্রফি ভেঙে ফেলেন।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন , ‘খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম।সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মেহরুবা ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ ঘটনায় দূঃখ প্রকাশ করে জানান, একজন নির্বাহী কর্মকর্তা এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। ঘটনাটি দুঃখ জনক।
তিনি ট্রফি না ভেঙ্গে সেগুলো রেখে দিতে পারতেন অথবা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: