চুয়াডাঙ্গায় বিয়ের ১০ বছর পর পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার রাতে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা অ্যাপোলো হাসপাতালে ওই গৃহবধূ একত্রে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু একটি সন্তানও বেঁচে নেই। প্রসূতি সালেমা খাতুন (২৭) দামুড়হুদা উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ঝন্টু মিয়ার স্ত্রী।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, একটি সন্তানের জন্য কৃষক ঝন্টু মিয়া ১০ বছর প্রতীক্ষা করেন। মাস পাঁচেক আগে গর্ভে সন্তান এলে পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে পেটে ব্যথা নিয়ে কার্পাসাডাঙ্গা বাজারের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সালেমা খাতুনকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। পরবর্তীতে রাত ৮টার দিকে একে একে আরো চারটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই একে একে সবাই মারা যায়।
অ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মামুন আর রশীদ বলেন, ‘সন্ধ্যার আগে স্বামীর সঙ্গে ওই ক্লিনিকে আসেন ছালেমা খাতুন। ক্লিনিকে ঢোকার পরই প্রথমে একটি সন্তান প্রসব করেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহযোগিতায় প্রসব করেন বাকি চার সন্তান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পাঁচ নবজাতকেরই মৃত্যু হয়।
অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসুমা ফেরদৌস স্নিগ্ধা জানান, মাত্র সাড়ে ৪ মাসের মাথায় পাঁচ সন্তান প্রসব করেন সালেমা খাতুন। সন্তানের মধ্যে ১ মেয়ে, ২ ছেলে বাকি দুটি সন্তান জোড়ালাগা অবস্থায় ছিল। তাই ছেলে না মেয়ে জানা সম্ভব হয়নি। সন্তানরা সব মারা গেলেও প্রসূতি ছালেমা খাতুন চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, একত্রে পাঁচ সন্তানের জন্মের কথা শুনে ওই ক্লিনিকে অসংখ্য নারী-পুরুষ ভিড় করে দেখতে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: