নারায়ণগঞ্জের এসপিসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন বিএনপির

নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ‘যুবদল কর্মী’ শাওন নিহতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ ৪২ জনের বিরুদ্ধে নারায়নগঞ্জ আদালতে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে এ মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়। মামলায় ডিবি পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান কনককে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে৷ এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ অঞ্চল) নাজমুল আলম, এসআই কামরুজ্জামান, ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমীর খসরু, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিচুর রহমানকেও আসামি করা হয়।

দায়ের করা মামলার আবেদনে অন্য আসামিরা হলেন- কনস্টেবল শাহরুল আলম, মো. সোহাগ, মো. আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, এএসআই ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, সোহরাব, কনস্টেবল জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসীন মিয়া, মোস্তাকিম, শাহাদাত হোসেন, ফখরুল ইসলাম, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগ৷ এছাড়াও মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আবেদন করা হয়েছে। আদালত পরে আদেশ দেবেন।

এ বিষয়ে মামলার প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ তালুকদার গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আপনারা সকলেই জানেন নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় পুলিশ গুলিবর্ষন করে। এতে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় যুবদল কর্মী নয়ন। মাহফুজুর রহমান কনক চাইনিজ রাইফেল দিয়ে গুলিবর্ষণ করেছে। কিন্তু তার নামে পিস্তল বরাদ্দ ছিল।

পুলিশ ও আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে হত্যাযজ্ঞে অবতীর্ণ হয়ে মরদেহ উপহার দিয়েছে। আমাদের শাওন নামে যুবদল কর্মী নিহত হয়েছে। পুলিশের এই সন্ত্রাসীমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদে আমরা মামলার আবেদন করেছি। আশা করি আদালত মামলা গ্রহণ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন।
নারায়ণগঞ্জে মামলার আবেদন শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের যে গনতান্ত্রিক অধিকার আছে, সেটা হচ্ছে র‌্যালী ও শোভাযাত্রার অধিকার। সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী র‌্যালী আয়োজন করা হয়েছি।
কিন্তু পুলিশ আমাদের প্রতিষ্ঠানের বার্ষিকীর র‌্যালিতে হামলা ও গুলি বর্ষণ করে আমাদের গনতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। এটি এক দলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার যে নমুনা সেটাই বাস্তবায়িত হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এড. সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ওফর ফারুক নয়নসহ অর্ধশতাধিক বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।