পাবনার ঈশ্বরদীতে হাটের ইজারার আধিপত্য নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক।
রবিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকুড়ুলিয়া গ্রামে নছিরের ঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চড় গড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ের দৈনিক হাটের ইজারা পান চরকুড়ুলিয়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল কাফি। অপরদিকে, চরগড়গড়ি মাদ্রাসা মোড়ের হাটের ইজারা পান একই গ্রামের গোলাম সারোয়ার। দৈনিক হাট ও সাপ্তাহিক হাটের ইজারা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বেশকিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল।
এরই জের ধরে রবিবার সন্ধ্যায় চরকুড়ুলিয়ার নছিরের ঘাটে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষের জড়ায়। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম জানান, হাট নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকাবাসী গোলাগুলি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২/৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে গেছে। রাত নয়টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পি এম ইমরুল কায়েস বলেন, হাটের আধিপত্য নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল বলে তিনি জেনেছেন। এর আগে মাদ্রাসা হাট ইজারাদারদের বুঝিয়ে দেওয়ার পরও অন্য গ্রুপ বসতে বাধা প্রদান করছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: