শেরপুর সদর উপজেলার ৮নং লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার বিজয়ী চেয়ারম্যান মো.আব্দুল হাই'র বিরুদ্ধে রাস্তার দুই ধারের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
২১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকালে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খবর পেয়ে প্রায় ১৫টি কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করেন।
জানা যায়, ২০ জুলাই (বুধবার) সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যান মো.আঃ আব্দুল হাই ওই গাছগুলো কাটার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার ৮নং লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি থেকে ইলশা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তার দুইধারের গাছগুলো সৌন্দর্য বর্ধন করে ছায়া দিয়ে আসছে। এই পথে চলাচল করে হাজারো মানুষ। তাদের মাথার উপরে রোদের গ্রাস থেকে রক্ষা করত এই গাছগুলো। শুধু তাই নয়, প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাসহ গাছগুলো থাকার ফলে রাস্তার দুই ধারের মাটি ভেঙ্গে যেত না।
কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় কোন নিয়মশৃঙ্খলা ও আইনকানুন না মেনে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই এসব গাছ কাটার নির্দেশ দেন। পরে গাছগুলো সরিয়ে নেন চেয়ারম্যানের লোকজন।
চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা যোগসাজসে রাস্তার ধারে গাছ কেটে সাবাড় করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা বাঁধা দিতে গিয়েছিলাম। তারা বলেছে যে উপর মহলের নির্দেশেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। পরে আমরা চলে এসেছি। একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আলাল উদ্দিন বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গাছ কাটার ব্যাপারে প্রতিরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তারা মানেননি। তারা বলেছেন উপরের নির্দেশেই গাছ কাটা হচ্ছে।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে ৮নং লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কে বা কাহারা গাছ কেটেছে তা আমি কিছুই জানি না।
বন বিভাগের শেরপুর সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রেজ্জাক বলেন, সরকারি যত গাছ আছে তা বিক্রি করতে হলে বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে ও বন বিভাগ কর্তৃক মূল্য নির্ধারণ করিয়ে নিতে হবে। এসব নিয়ম না মানলে সেটি অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু রাস্তার ধারে গাছ কাটার বিষয়ে বন বিভাগের কাছে কেউ অনুমতি বা অনাপত্তিপত্র নেয়নি। তার মানে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, রাস্তার ধারে গাছ কাটা শুনার পর পরই কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে রাখা হয়েছে। এ খবর শুনেই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: