পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলাকে ভূমিহীন শূন্য ঘোষনা

রাকিবুল ইসলাম তনু, পটুয়াখালী | ২০ জুলাই ২০২২, ০২:১৫

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলাকে ভূমিহীন শূন্য ঘোষনা করা হয়েছে। আজ ১৯ জুলাই মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষনা দেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( রাজস্ব) মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক জানান, বাংলাদেশের একজন মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জমিসহ সেমি পাকা ও ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ছিন্নমূল ও অসহায় জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন। এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ের ১ম ধাপ সহ ৬,০৭৩ টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী ২১ জুলাই ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে গৃহহীনদের ঘর প্রদানের উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এই ধাপে পটুয়াখালীতে ৫১৭ টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুমকী ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার নতুন তালিকাভুক্ত ৬২ টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং বরাদ্দ প্রাপ্ত গৃহের নির্মান কাজ চলছে। পরবর্তীতে দশমিনা দুমকী ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন গৃহহীন ও ভূমিহীন কেউ রয়েছে কি-না সে লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু এই তিনটি উপজেলায় নতুন করে কোনো গৃহহীন পাওয়া যায়নি। টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সাথে প্রাপ্ত প্রস্তাব পর্যালোচনা পরে এই তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার প্রস্তাব দেয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুধু দশমিনা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষনা করা হয়। পটুয়াখালীর অন্যান্য এখনো যাচাই-বাছাই চলছে। গৃহ নির্মাণের চাহিদা থাকলে তা প্রদান করে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে। তবে নদী ভাঙ্গনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি কেউ ভূমিহীন হয় তবে তাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমি ও ঘর দেয়া হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: