স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে বিশ্ব দরবারে মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন শেখ হাসিনা’- রাসিক মেয়র লিটন

বিজয় ঘোষ, রাজশাহী | ১৮ জুলাই ২০২২, ০১:১৩

সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে ‘গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলিত করার অপপ্রয়াস’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার রাত ৮টায় কুমাপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চারনেতাসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে গ্রেপ্তার হবেন, সেটি তিনি জানতেন। গ্রেপ্তার হওয়ার দুই দিন আগে ব্যক্তিগতভাবে আমাকে বলেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বে সে কারণে লিখিত একটি বিবৃতি তিনি লিখে রেখেছিলেন। দেশের নাগরিক, স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ, মুক্তিযোদ্ধাগণ ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কী করতে হবে- সেই নির্দেশনা সেখানে সুস্পষ্টভাবে দেয়া ছিল।

গ্রেপ্তার হয়ে ১১ মাস কারাবন্দি থাকার সময়টাকে শুয়ে-ঘুমিয়ে, টেলিভিশন দেখে কাটাননি। তিনি একেবারে হোমওয়ার্ক করেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন, কাকে কাকে নিয়ে এগোতে হবে, দলের কোথায় কোথায় ক্রুটি আছে, কোথায় কোথায় কী করতে হবে এবং সরকারে গেলে তিনি কী কী করবেন-এসব কিছু ভেবে রেখেছিলেন। যে কারণে আমরা দেখেছি তিনি মুক্তি পাওয়ার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনে যায়, সেই নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করে, সেই ইশতেহার ছিল অত্যন্ত আকর্ষনীয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেপ্তার যে ‘শাপে বর’ হবে সেটি গ্রেপ্তারকারীরা বুঝতে পারেননি। যদি বুঝতে পারত, তাহলে তারা হয়তো এই কাজটি করতো না। শেখ হাসিনা স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে বাংলাদেশের সীমানা পার হয়ে বিশ্ব দরবারে তাঁর মেধা, মনন, সক্রিয়তা, দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। আর যারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন তাদের নাম কেউ মুখে আনে না, আনলেও ঘৃনাভরে আনে। যাকে তারা গ্রেপ্তার করেছিল তাঁকে মানুষ মাথার মুকুট করে রেখেছে।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অনেকের চোখ ধাঁধিয়ে গেছে। নিজেদের অর্থে আমরা পদ্মা সেতু করেছি। ১০টি মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে। দেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নে ডেল্টা প্লান-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার দক্ষ পরিচালনায় বিশাল বটগাছে পরিণত হয়েছে। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দিনকে দিন দল আরো বড় হচ্ছে। ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগের পতাকা তলে নিয়ে আসতে হবে।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: