নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় শোকসভার মঞ্চের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের হলরুমে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্বরণে আয়োজিত শোকসভায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মরহুম কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্বরণে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাএলীগের উদ্যোগে চাপরাশিরহাট ইসমাইল ডিগ্রি কলেজের হলরুমে এক শোকসভার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরুল আমিন রুমি ও চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন শোকসভার মঞ্চে বসেন। এরপর ৭টা ১৮ মিনিটের দিকে চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতি প্রাপ্ত) হানিফ বিএসি মঞ্চে বসতে গেলে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য মো.সেলিম বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে দু্ই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,গত রমজান মাসে হানিফ বিএসসি নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে আয়োজিত এক সভায় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন। ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার দেখা দেয়। একপর্যায়ে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় হানিফ বিএসসি শোকসভার মঞ্চে বসতে গেলে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য মো.সেলিমের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা বাধা দেন। এতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক (অব্যাহতি প্রাপ্ত) হানিফ বিএসসি বলেন, আমি শোকসভার হলরুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমাকে ডেকে নিয়ে তাঁর পাশের চেয়ারে বসায়। ওই সময় সেলিম নামে এক ব্যক্তি হইচই করলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তাকে জানায় আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় নি।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি বলেন,গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট না করাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হয়েছে। জটিল কিছু হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়নি অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, শোকসভার মঞ্চে বসা নিয়ে মানোমালিন্য হয়। সভা শেষে ফেরার পথে দুই পক্ষের লোকজন হাতাহাতি করার চেষ্টা করেছে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটনি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: