শেরপুরে কাগজের বই পড়ার গুরুত্ব ও আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে মতবিনিময়

মো.রাজন মিয়া,শেরপুর: | ৩ জুলাই ২০২২, ১০:৩৫

সংগৃহীত

শেরপুরে “কাগজের বই পড়ার গুরুত্ব ও বই পড়ায় আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে করনীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভা,বই বিতরণ ও কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে শেরপুরের নকলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে স্থানীয় সাংবাদিক ও সুধী সমাজের সাথে মতবিনিময় এবং বই বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাঙচিল কেন্দ্রীয় কমিটি’র জেলা সমন্বয়ক বিশিষ্ট ছড়াকার ও উপন্যাসিক কবি নূরুল ইসলাম মনি।

নকলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাবু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের নকলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎ শেরপুর জেলা গাঙচিলের সভাপতি সাংবাদিক ও কবি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি কবি মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ ও কবি রাবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি হাসান শারফত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নাযীফ, শেরপুর সদর গাঙচিলের সভাপতি কবি এম এইচ মুকুল, কোষাধক্ষ্য সাংবাদিক কাজি মাসুম, নকলা প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী রাজন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সৌরভ, সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন, রেজাউল হাসান সাফিত, সীমানুর রহমান সুখন প্রমূখ। 

বক্তারা এসময় বই পড়ার গুরুত্বারোপ করে বলেন, বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে জ্ঞানের পরিধি যেমন বাড়ায়, তেমনি তৃঞ্চা নিবারণ ও মনের বিমর্ষতা দূর করে নির্ভেজাল আনন্দ দেয়। বইয়ের সঙ্গে কেবল তথ্য বা জ্ঞানের সম্পর্ক নয়, একটি ভালো বই পাঠকের জানার পরিধি বাড়ানোর পাশপাশি দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত ও প্রসারিত করে। বই হচ্ছে সভ্যতার ধারক ও বাহক। এর সংস্পর্ষে না এলে অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান লাভ করা অসম্ভব। 

মতবিনিময় শেষে গাঙচিল সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও কবি-সাহিত্যিকরা কবিতা এবং হারিয়ে যাওয়া পুঁথি কাব্য পাঠ করেন। পরে নকলা প্রেসক্লাবের স্থাপিত বঙ্গবন্ধু বুক কর্নারে- ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনী ও উপন্যাসের ২৮ টি বই প্রদান করা হয়। 

বইগুলো হলো, সিনিয়র কবি নূরুল ইসলাম মনি’র কাব্য গ্রন্থ ‘তুমি’ এবং যৌথ গল্প গ্রন্থ ‘নির্বাচিত গল্প সংগ্রহ’ ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ ‘আবীর ছোঁয়া স্মৃতি’, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, অনুবাদক ও উপস্থাপক কবি কাকন রেজার কাব্য গ্রন্থ ‘স্থির করে দাও কম্পমান জল’, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক রোমান জাহানের কাব্য গ্রন্থ ‘বিষাদের মতো গোপন’, সাংবাদিক ও কবি রফিক মজিদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভ্রমণ কাহিনী গ্রন্থ ‘মেঘালয়ে ফিরে দেখা-৭১’ ও কাব্য গ্রন্থ ‘অদৃশ্য অনুভূতি’, কবি জাহাঙ্গীর আলমের কাব্য গ্রন্থ ‘রূপসী ছড়ার দেশ’, কবি মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ এর ১০ টি ছড়া, কবিতা ও গল্প গ্রন্থের মধ্যে, ‘ভোর হলো দোর খোল’, ‘জীবন ও কবিতা’, ‘ছড়া দিয়ে গড়বো এদেশ’, ‘এক পশলা বৃষ্টি’, ‘দুঃখিনী মা’, ‘আল্লাহর পরিচয়’, ‘তোমাকে খুঁজে ফিরি চৈতালী হাওয়ায়’, ‘সাহসের বহমান নদী’, ‘মায়াবী ডাক ও প্রজাপতির রঙিন ডানা’, কবি হারুনুর রশিদের কাব্য গ্রন্থ ‘শতরূপা’, কবি রাবিউল ইসলামের ‘স্বচ্ছ ভালোবাসা’, কবি ও উপন্যাসিক হাসান শারফতের কাব্য গ্রন্থ ‘স্মৃতির পাতায় তুমি’ ও ‘নিয়তি’, ছাড়াকার নুরুল ইসলাম নাযীফের ছাড়া গ্রন্থ ‘অনবদ্য ছড়া পদ্য’, আদিবাসী কবি প্রঞ্জল এম. সাংমার কাব্য গ্রন্থ ‘অরণ্য কুটির’, কবি গোলাম ফারুকের গল্প গ্রন্থ ‘গন্তব্যহীন যাত্রা’, সাংবাদিক আবুল হাশিমের ‘৭১ এর রনাঙ্গনের অগ্নিপুরুষ সুবেদার আব্দুল মোতালেব’, কবি এম. এইচ. মুকুলের পুঁথি কাব্য ‘ডাইনি মা’ এবং শেরপুর গাঙচিলের ২০ কবির যৌথ কাব্য গ্রন্থ ‘শেরপুর গাঙচিলকণ্ঠ কবি ও কবিতা’।

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: