ফের বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, রংপুরে বন্যার আশঙ্কা

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক | ৩০ জুন ২০২২, ০৫:০৫

বুধবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপরে-ছবি: সময় ট্রিবিউন

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটারওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার ওপরে। এর আগে একই দিন সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছিল।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে আবারও মাঝারি ধরনের বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে। গত ২৩ জুন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ১৫ দিন থেকে ১ মাসের একটি বর্ধিত পূর্বাভাস দেয়। সেই তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও বগুড়ায় চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে, এই সময় নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি থাকবে এবং জুলাইর প্রথম সপ্তাহে আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম এবং একটি মাঝারি ধরনের বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, উজানের বৃষ্টিপাতের কারণে গতকাল রাত থেকে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট জেলায় ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, বুধবার দুপুর থেকে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। পানির চাপ মোকাবিলায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। বড় ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সজাগ রয়েছেন।

এছাড়াও কুড়িগ্রামে গত ১২ ঘণ্টায় ধরলার পানি ৩৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

এদিকে এ বছরের বন্যায় রংপুর বিভাগের চার জেলার ১৭৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর বিভাগের উপপরিচালক (প্রাথমিক শিক্ষা) মুজাহিদুল ইসলাম।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: